চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হৃদয়-জাকেরের রেকর্ড জুটি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৫ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭
৩৫ রানেই নেই পাঁচ উইকেট। এক তানজিদ তামিম ছাড়া শুরুতেই ভারতের বিপক্ষে ব্যর্থ টপ অর্ডারের বাকিরা। সেই তানজিদের পর মুশফিককে ফিরিয়ে অক্ষর প্যাটেল জাগালেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। জাকের আলীর ক্যাচটা ধরতে ধরতেও ফেলে দিলেন রোহিত শর্মা। জীবন পেলেন জাকের। সেটা কাজেও লাগালেন দুর্দান্তভাবে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে তাওহিদ হৃদয়ের সাথে গড়লেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিরই ১৫৪ রানের রেকর্ড জুটি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিল মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্পের। ২০০৬ সালের আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩১ রানের জুটি গড়েম দুজন। মোহালির সেই ম্যাচে ৪২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে বাউচার-কেম্প মিলে দলকে টেনে নিয়ে যান ১৭৩ পর্যন্ত।
আজ আরও বাজে অবস্থা থেকে দলের রেকর্ড জুটি গড়লেন হৃদয়-জাকের। ৩৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারানোর পর দুজন শুরু করেন ডিফেন্সিভ ব্যাটিং। ভারতের তিন স্পিনার কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল আর রবীন্দ্র জাদেজাকে সামলেছেন বেশ দক্ষতার সাথে। যদিও তাদের স্পিন-টার্নে বেশ ভুগেছেন দুজন, তবুও উইকেট দেননি। হৃদয় অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দেন নিজের ফিফটি ছোঁয়ার আগে। তবে হার্দিক সেই ক্যাচ মিস করায় তখন জীবন পাওয়াতে আরও সাবধানী ব্যাটিং করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
জাকের ছিলেন আরও সাবধানী। ২০৬ বল দৈর্ঘ্যের এই জুটিতে জাকের একাই খেলেছেন ১১৪ বল। নিজের দ্বিতীয় ফিফটি ছোঁয়ার পর আউট হয়েছেন মোহাম্মদ শামির ২০০ তম ওয়ানডে শিকার হয়ে। তাকে তুলে মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৬৮ রানে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ভাঙে সেই রেকর্ড জুটি।
শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই নয়। ভারতের বিপক্ষে যেকোনো দলের ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিও এখন হৃদয়-জাকেরের দখলে। একইসাথে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটেও সর্বোচ্চ রানের জুটি এখন এটি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল জাকের আলী আর মাহমুদউল্লাহর দখলে। ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫০ঁ রানের জুটি গড়েন তারা।
এর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৫০ রানের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মিলে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েন সেই জুটি।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৮৯/৬।
সারাবাংলা/জেটি