২২৮ রান করেও ভারতের বিপক্ষে জয়ের আশা ছিল হৃদয়ের
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৯ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩১
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। গতকাল ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরে নিশ্চয় মন খারাপ বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। সবচেয়ে বেশি মন খারাপ হয়ত তাওহিদ হৃদয়ের। ৩৪ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে প্রথমবার সেঞ্চুরি পেলেন হৃদয়। সেটাও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে এবং ভারতের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। কিন্তু এমন সেঞ্চুরির দিনও থাকতে হচ্ছে হারা দলের সদস্য হয়ে।
হৃদয়ের সেঞ্চুরির আরেকটা মাহত্ব হলো ব্যাটিংয়ের সময় মাংসপেশিতে টান পেয়েছিলেন। তবে মাঠ ছেড়ে যাননি। তীব্র ব্যথা নিয়েই ব্যাট করেছেন এবং সেঞ্চুরি করেছেন। আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হয়ে হৃদয় ওভাবে না লড়লে বড় লজ্জাই হয়ত পেতে হতো!
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জাকের আলি অনিকের সঙ্গে ১৫৬ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। জাকের ফিরলেও হৃদয় ফিরেছেন সেঞ্চুরি করেই। তার ঠিক ১০০ রানের কল্যাণে ২২৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ভারতের মতো ব্যাটিং শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই রান নিয়েও জয়ের আশা ছিল, ম্যাচ শেষে এমনটা বলেছেন হৃদয়।
বাংলাদেশি তরুণ বলেছেন, পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল না। বাংলাদেশ যদি আর ৩০-৪০টা রান করতে পারত তাহলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্নও হতে পারত বলেছেন হদয়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তরুণ ব্যাটার বলেন, ‘আমি আর জাকের চেষ্টা করেছি। জাকের যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারত, রানটা ২৭০ হতো, তাহলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারত। এই উইকেটে ব্যাটিং করা অতটা সহজ ছিল না। তারাও ৪৭তম ওভারে গিয়ে জিতেছে। আমাদের ৩০–৪০ রান কম হয়েছে। আমার মনে হয়েছে এই রান নিয়েই আমরা লড়াই করব। কিছুটা করেছিও। কিন্তু কিছু বাউন্ডারি হয়ে গেছে। নইলে ওরাও ব্যাট সহজে করতে পারেনি। খেলোয়াড় হিসেবে যেটুকু রানই করি না কেন, জেতার জন্যই খেলতে হবে।’
আর দলের রান না বাড়ার দায়টা নিজের ওপরই দিলেন হৃদয়। নিজের বাঁ-পায়ে ক্র্যাম্পটা (মাংসপেশিতে টান) না হলে আরও ২০-৩০ রান বেশি করতে পারতেন বলেছেন তরুণ ক্রিকেটার, ‘আমার ক্র্যাম্পটাই (মাংসপেশির টান) সমস্যা করেছে। ওটা না হলে আরও ২০–৩০ রান বেশি করতে পারতাম।’
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করার পর ম্যাচে ফিল্ডিং করেননি হৃদয়। আগামী ২৪ তারিখে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখামুখি হবে বাংলাদেশ। ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। সেই দুই ম্যাচে হৃদয়কে পাবে তো বাংলাদেশ?
হৃদয় বললেন চোটের অবস্থা অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বাকি দুই ম্যাচই খেলতে পারবেন বলে মনে করছেন। বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ হবে পাকিস্তারে লাহোরে। আজ রাতে দুবাই থেকে পাকিস্তান পৌঁছার কথা বাংলাদেশ দলের।
সারাবাংলা/এসএইচএস