চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভরাডুবিতে প্রস্তুতির ঘাটতি দেখছেন সালাউদ্দিন
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৫২
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের রীতিমতো ভরাডুবিই হয়েছে। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারা বাংলাদেশ পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। এভাবে ছিটকে পড়ার কারণ হিসেবে প্রস্তুতির ঘাটতির কথা বললেন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
সালাউদ্দিনের কথাটা যুক্তিযুক্তও বটে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ওয়ানডে ফরম্যাটে, কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রায় দেড় মাস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। অন্য দলগুলো যখন ওয়ানডে সিরিজ খেলে প্রস্তুত হচ্ছিলেন তখন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা খেলছিলেন বিপিএল।
বিপিএল শেষ হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দেশ ছেড়েছেন ক্রিকেটাররা। এটাকে নিশ্চয় আদর্শ প্রস্তুতি বলার সুযোগ নেই। সালাউদ্দিন সেই কথাটা বললেন।
আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচ এখন অনেকটাই নিয়মরক্ষার। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ সালাউদ্দিন।
প্রস্তুতি ঘাটতির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের আগে ৫ দল অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছে পাকিস্তানে, ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ খেলেছে। আমরা কিন্তু তা পারিনি। বিপিএলের ২ দিন পর ফ্লাই করতে হয়েছে। প্ল্যানের জন্য আসলে প্লেয়ার না শুধু, ম্যানেজমেন্টকেও চিন্তা করতে হবে। সবকিছুর সমন্বয়ে পারফরম্যান্স আসতে পারে। সবকিছু বসে গুছিয়ে পরিকল্পনা করে এগোতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’
‘প্রস্তুতি আসলে সবকিছুই তো পরিকল্পনা। আমার মনে হয় পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড যে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে এটা নিশ্চয়ই ১ বছর আগে ঠিক করেছে। বড় টুর্নামেন্টের আগে হোম গ্রাউন্ডে এসে ৩টা ম্যাচ খেলা এর চেয়ে বড় প্রস্তুতি আর কিছু হতে পারে না। দায়ী তো দুনিয়ার সবাইকেই করা যায় চাইলে। আমরা হয়ত আদায় করতে পারি না। যারা ম্যানেজমেন্ট আছে তাদেরকে আদায় করতে হবে। বিপিএল যদি ১৫ দিন আগে শেষ করা যেত, ইচ্ছা করলেই শেষ করা যেত। তাহলেই হয়ত প্রস্তুতি নেওয়া যেত। যা হওয়ার হয়ে গেছে। কীভাবে সামনে এগোতে পারি (এখন এটা চিন্তা করতে হবে), এটা আসলে প্লেয়ারদের বলে লাভ নাই। প্লেয়াররা খেলবে। কীভাবে সাহায্য করে তাদেরকে বেটার করতে পারি (এটা আমাদের কাজ), আমরা আসলে সাহায্যকারী। আমাদের সবাই মিলেই ছেলেদের বড় করতে হবে। আমি আশাবাদী কিছুটা হয়ত চেঞ্জ হতে পারে, বাকিটা জানি না।’- যোগ করেছেন সালাউদ্দিন।
যেসব গেছে তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতে চান না সালাউদ্দিন। সামনে এগুনোর লক্ষ্য ঠিক করায় মনোযোগ বাংলাদেশি কোচের। বলেছেন, ‘ওয়ানডেতে হয়ত আমরা ভালো দল ছিলাম। আমি এখনও বলব না আমাদের এটার ভবিষ্যত নাই। দুই দিনই আমরা ৩০ মিনিট করে খারাপ খেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছি। সেখান থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় প্রথম ম্যাচে জাকের (আলী অনিক) এবং তাওহিদ (হৃদয়) দেখিয়েছে। (নাজমুল হোসেন) শান্ত এবং জাকেরও ভালো খেলেছে। আমরা হয়ত ৫০ রান পিছিয়ে ছিলাম। অই ৫০ রান করার মত অবস্থাতেও আমরা ছিলাম। এসব জায়গা দেখতে হবে কীভাবে উন্নতি করা যায়।’
সারাবাংলা/এসএইচএস