Wednesday 26 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তামিমের ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড পেরিয়ে গেছে: চিকিৎসক

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
২৫ মার্চ ২০২৫ ১৩:২০ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩৭

হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবাল এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের ‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’ পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে তামিমের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালের মিডিয়া পরিচালক ড. রাজীব হাসান। তিনি বলেন, ‘একটা ক্রিটিক্যাল পিরিয়ডে তিনি ছিলেন। পুরোপুরি না হলেও এই ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড পেরিয়ে এসেছি আমরা। উনি (তামিম) সুস্থ আছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন। সবার সঙ্গে কথা বলছেন। আমরা খুব সুন্দরভাবে উনাকে ছেড়ে দিতে পারব। কখন ছেড়ে দেব এটা উনাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত।’

বিজ্ঞাপন

তবে এখনই ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে ফেরা হবে না তামিমের। আগামী তিন মাস পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে তাকে। হার্টের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেসব নিয়মিত ফলোআপে রাখতে হবে। ড. রাজীব হাসান বলেন, ‘আগামী তিন মাস ওনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। উনি নিজেই চেকআপে থাকবেন। ওনার হার্ট কি আরো ভালোর দিকে যাচ্ছে, নাকি খারাপের দিকে যাচ্ছে এসব পরীক্ষা নিরীক্ষায় উনি থাকবেন।’

সোমবার (২৪ মার্চ) সাভারের বিকেএসপিতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলার সময় অসুস্থ হয়ে পরেন তামিম ইকবাল। বুকে হালকা ব্যথা অনুভব হলে তাকে পার্শ্ববর্তী ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয় তামিমকে। পরে কিছুটা ভালো অনুভব করলে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আসার ইচ্ছার কথা জানান তামিম। সে অনুযায়ী হেলিকপ্টারও ডাকা হয়।

কিন্তু হেলিকপ্টরে উঠার আগ মুহূর্তে আবারও হার্ট অ্যাটাক করেন তামিম। যেটাকে বলা হচ্ছে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। প্রত্যাক্ষদর্শীদের মতে, সেই সময়টা ছিল খুবই ভয়াবহ। তামিমের শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। কোনো প্রকার সাড়া দিচ্ছিলেন না। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। এবং একটা সময় পালসও পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই সঙ্গে মুখ দিয়ে ফেনা উঠছিল।

বিজ্ঞাপন

ফলে দ্রুত আবারও ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। দ্বিতীয় দফায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর আইসিইউ’তে নেওয়া হয় তামিমকে। পরে তার হার্টে রিং পরানো হয়। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্লক পুরোপুরি সচল হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে তামিমের। পরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থা আরও উন্নতি হয়েছে। এখন বেশিরভাগ সময়ই ঘুমিয়ে থাকছেন তামিম। পরিবারের সদস্যরা ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন। চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন তামিম।

সারাবাংলা/এসএইচএস

তামিম ইকবাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর