তামিমকে দেখতে হাসপাতালে সাকিবের বাবা-মা
২৫ মার্চ ২০২৫ ১৫:৪৮ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩২
হার্ট অ্যাটাক করে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবালকে দেখতে গেছেন সাকিব আল হাসানের বাবা-মা। হাসপাতালে গিয়ে তামিম ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা ও মা শিরিন আক্তার।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে যান মাশরুর রেজা ও শিশির আক্তার। পরে সংবাদ মাধ্যমকে মাশরুর রেজা বলেন, ‘তামিম শুধু আমার ছেলের মতো না…তামিমের আব্বা তো আমার খেলার বন্ধু। ইকবাল ভাই তো আমার খেলার বন্ধু। তামিমের মায়ের বিয়ের আগেই কিন্তু তাঁর বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক।’
তামিমের জন্য দোয়া চেয়েছেন সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা, ‘তামিম ভালো আছে। খুব শিগগির বাসায় চলে যেতে পারে। তামিমের সঙ্গে সাকিবের কথা হচ্ছে কি না, আমি জানি না। দোয়া করা ছাড়া আর কী আছে। তামিমকে দেখলাম, তাঁর জন্য দোয়া করলাম। আমি গতকালও তাঁর জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছি।’
জানা গেছে, এর আগে তামিম ইকবালের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান। তামিমের খোঁজ খবর নিয়েছেন সাকিব।
একটা সময় দুজন ছিলেন পরম বন্ধু। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্কটা আর নেই অনেকদিন ধরেই। দুজনের কথা বলাও বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। তামিম গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে মন কাঁদছে সাকিবেরও।
গতকাল এক ভিডিও কলে তামিমের জন্য দোয়া চাইতে শোনা যায় সাকিবকে। পরে নিজের ফেসবুক পেজে তামিমকে ‘ভাই ও বন্ধু’ সম্বোধন করে দোয়া চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন সাকিব।
সোমবার (২৪ মার্চ) সাভারের বিকেএসপিতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলার সময় অসুস্থ হয়ে পরেন তামিম ইকবাল। বুকে হালকা ব্যথা অনুভব হলে তাকে পার্শ্ববর্তী ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয় তামিমকে। পরে কিছুটা ভালো অনুভব করলে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আসার ইচ্ছার কথা জানান তামিম। সে অনুযায়ী হেলিকপ্টারও ডাকা হয়।
কিন্তু হেলিকপ্টরে উঠার আগ মুহূর্তে আবারও হার্ট অ্যাটাক করেন তামিম। যেটাকে বলা হচ্ছে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। প্রত্যাক্ষদর্শীদের মতে, সেই সময়টা ছিল খুবই ভয়াবহ। তামিমের শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। কোনো প্রকার সাড়া দিচ্ছিলেন না। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। এবং একটা সময় পালসও পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই সঙ্গে মুখ দিয়ে ফেনা উঠছিল।
ফলে দ্রুত আবারও ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। দ্বিতীয় দফায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর আইসিইউ’তে নেওয়া হয় তামিমকে। পরে তার হার্টে রিং পরানো হয়। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্লক পুরোপুরি সচল হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে তামিমের। পরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থা আরও উন্নতি হয়েছে। এখন বেশিরভাগ সময়ই ঘুমিয়ে থাকছেন তামিম। পরিবারের সদস্যরা ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন। চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন তামিম।
সারাবাংলা/এসএইচএস