হার না মানাই যখন জার্মানীর মূল মন্ত্র
২৪ জুন ২০১৮ ২০:২০
আব্দুল আজীজ, সাবেক ফিফা রেফারি
শিক্ষা নিয়ে কোন প্রবন্ধ লিখতে গেলে আমরা লিখি- Education is the backbone of a nation. এই লাইনটি অনেকবার লেখা হয়েছে, সবাই লিখে, বিরক্তও লাগতে পারে, কিন্তু না লিখে উপায় নাই কারণ লাইনটি সঠিক। যেমন জার্মানীর ক্ষেত্রে ইংলিশ ফুটবলার গ্যারি লিনেকার বলেছিলেন- ফুটবল ৯০ মিনিটের খেলা, ২২ জন খেলে, আর জেতে জার্মানী। জার্মানদের হার না মানা মনোভাবের কারণে কত ম্যাচ যে তারা নিজেদের করে নিয়েছে।
খেলার যে কোন মুহুর্তে তারা কনসেনট্রেশন করে শুধু তাদের কাজে। বিশ্বকাপ ফাইনালে ২ গোলে পিছিয়ে থেকে কাপ জেতার রেকর্ড আছে তাদের ১৯৫৪ সালে, এবং সেই টিমের সাথে গ্রুপে যাদের কাছে তারা ৮-৩ গোলে হেরেছিল। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের কথাই ধরুন। আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে, সবাই প্রস্তুত চ্যাম্পিয়ান আর্জেন্টিনাকে বরণ করার জন্য, কোথ্থেকে জার্মানরা ঠিকই ২ গোল দিয়ে দিলো। ১৯৭০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইতালি জিতেছিল, কিন্তু তাদের জীবন প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিল জার্মানী।
বেকেনবাওয়ারের কাঁধ স্থানচ্যুত হয়েছে, সেই কাঁধ বেধেই নেমে পরল মাঠে। কারণ বদলী খেলোয়াড় নামানোর কোটা শেষ। কি আর বলব ওদের কথা।
এই খেলাতে জার্মানরা জিততেই নেমেছিল। অল এটাক ফুটবল খেলা শুরু করেছিল ম্যাচের বাঁশি ফুকোনেরা পর থেকেই। সুইডেনও শুরুতে আক্রমণ করেই খেলেছিল। গোলটিও সুন্দর দিয়েছে। তবে প্রথম গোল দেওয়ার পর সুইডেনের মধ্যে কেমন নার্ভাসনেস কাজ করছিল। কারণ আরও কিছু সুযোগ তারা নষ্ট করেছে। এর মাঝে আবার একটি পেনাল্টিও পেতে পারত। নয়্যার ভালো কিছু সেভ করেছে।
২য় অর্ধে জার্মানী যা কিছু আছে তা নিয়েই ঝাপিয়ে পড়ে। হয় জিতব না হয় মরে যাব এমন একটা অবস্থা। গোলও পেয়ে যায়। কিন্তু ড্র অবস্থায় খেলা শেষ করার সমস্যা আছে। তখন সুইডেন মেক্সিকো ড্র হইলে জার্মানদের কিছু করার থাকবে না। খেলা ৯০ মিনিট হয়ে গেলেও অনেকেই আশা নিয়ে বসে ছিল জার্মানী ঠিকই গোল আদায় করে নিবে। হয়েছেও তাই। একবারে সঠিক এঙ্গেল বের করে নিয়ে হতবম্ভ করে দিল সুইডেনকে।
জার্মানীর এখন শুধু জিততে হবে কোরিয়ার সাথে, তাইলেই পরের রাউন্ডে। মেক্সিকোর দরকার ড্র, হারলে বাদ পরার সম্ভাবনা তাদেরই বেশি।
শ্রুতিলিখন: রাসয়াত রহমান জিকো