‘সে ইন্টারন্যাশনাল আম্পায়ার, আমরাও ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ার’
১২ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১১ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ২০:২২
সময়ের সাথে সাথে জৌলুস হারিয়েছে আবাহনী-মোহামেডানের ধ্রুপদী লড়াই। তবে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ের ঝাঁজ এখনও হারায়নি পুরোপুরি। আজ (শনিবার) ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের মৌসুমের ঢাকা ডার্বিতে আবাহনীকে হারিয়েছে মোহামেডান। ৩৯ রানে ম্যাচ জিতে ডিপিএলে আবাহনীর বিপক্ষে দীর্ঘ ৯ বছরের জয়খরা কাটল ক্লাবটির। তবে এমন জয়ের দিনে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়।
তখন মোহামেডানের দেয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল আবাহনী। স্ট্রাইকে ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। অষ্টম ওভারে বল করতে আসেন এবাদত হোসেন। এবাদতের করা বল প্রথম বল মিস করেন মিঠুন, জোরালো আবেদন করেন সবাই। কিন্তু সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। তখন ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবাদত। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল লেগেছে তার প্যাডে।
তবুও সেই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি হৃদয়। মিড অন থেকে তর্ক করতে করতে সৈকতের দিকে এগিয়ে আসেন হৃদয়। জবাব দিতে দিতে আইসিসির এলিট প্যানেলভূক্ত প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি সৈকতও এগিয়ে যান সামনে। দুই জনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দিচ্ছিল, বেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হচ্ছে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ এসে শান্ত করেন হৃদয়কে। মুশফিকুর রহিম এসে সরিয়ে দেন সৈকতকে।
মিরপুরে আবাহনীকে হারানোর পর সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় হৃদয় জানিয়েছেন, তখন আসলে কী হয়েছিল তার আম্পায়ার সৈকতের সাথে।
মোহামেডান অধিনায়ক বলেন, ‘ঘটনাটা নিয়ে সবকিছু এক্সপ্লেইন করতে পারব না। কিন্তু হিট অব দ্য মোমেন্ট অনেক কিছুই হয়। তারাও মানুষ তারাও ভুল করে। কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে তারা ভুল করতেই পারে, মানুষ মাত্রই ভুল, আমরাও ভুল করব। বা আপনার প্রফেশন থেকে আপনিও ভুল করতে পারেন। কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়, ভুলটা স্বীকার করা উচিৎ। আমি যদি ভুল করি আমি স্বীকার করব। ভুলটা স্বীকার না করে আপনি যদি মনে করেন এটা ভুল না, তাহলে এটা হয় না।’
আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকতকে নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই তাকে আমরা রেসপেক্ট করি, সে ইন্টারন্যাশনাল আম্পায়ার, আমরাও ইন্টারন্যশনাল প্লেয়ার। তো এখানে আজকে যারা ছিল ম্যাক্সিমামই ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ারই ছিল। এরকম বড় ম্যাচে একটা দুইটা ভুল ডিসিশন বড় একটা ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারে। তো এটা নিয়ে কি হয়েছে এটা আমি বলব না। কিন্তু যদি ঘটনা অন্যদিকে যায় তাহলে অবশ্যই এটা নিয়ে মুখ খুলব ইনশাল্লাহ, আমি খুলব।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় বলে জানিয়ে হৃদয় বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনালে তো অহরহ হয়। ডমিস্টিকে এর চেয়েও বাজে হত। এখন তো এটাও হয়না। এখন তো ডে বাই ডে আমরা প্লেয়াররাও অনেক… রেসপেক্ট করে। শুধু আমাদের প্লেয়ারদের ওপর দোষ দিলেই হবে না।আপনারা দেখেন আমাদের আম্পায়ারিং তারাও তাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে দেখেন। এক দুইজন ছাড়া তারাও যে খুব ভালো করে এরকম না। তো যখন জাস্টিফাই করবেন তখন আমার মনে হয় দুই সাইড থেকেই জাস্টিফাই করা উচিৎ আমার কাছে যেটা মনে হয়।’
সারাবাংলা/জেটি
ডিপিএল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ তাওহিদ হৃদয় মোহামেডান শরফুদ্দো