বিশ্বকাপ বাছাই: অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা ধরে রাখার প্রত্যাশা জ্যোতির
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২২:০৫ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫৪
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল এখন পর্যন্ত রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য। তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জেতা বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানের হারিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ পরে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডকে দাপুটে হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে আত্মবিশ্বাসের কথা শোনালেন দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বলেছেন, যেভাবে এগুচ্ছেন বাছাই পর্বে সেই ধারাটা অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা তাদের।
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব পেরিয়ে দুটি দল যাবে বিশ্বকাপের মূলমঞ্চে। সেই দুই দলের একটি হতে বাংলাদেশের আর একটা জয় দরকার। টানা তিন জয় পাওয়া বাংলাদেশের ম্যাচ বাকি আর দুটি। তবে দুই ম্যাচের মধ্যে এক জয় পাওয়ার রাস্তাটা সহজ নয়। কারণ এই দুই ম্যাচ খেলতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক পাকিস্তানের মতো দুই শক্তিশালী দলের বিপক্ষে।
তবে দুই প্রতিপক্ষই শক্তিশালী হলেও টানা দাপুটে ক্রিকেট খেলতে থাকা বাংলাদেশ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। নিগার সুলতানা জ্যোতি বললেন, ‘আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। হ্যাঁ, আমরা পরবর্তী ম্যাচের অপেক্ষায় আছি, তবে আমরা সবসময় দল হিসেবেই খেলি।’
‘আমরা দল হিসেবে যেটা ভালো করেছি, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটা অবশ্যই একটা বড় ম্যাচ হতে চলেছে, আর গত কয়েকটা ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, আমরা চাই সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।’- বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অনেক বছর ধরে বোলিং শক্তি নিয়ে ম্যাচ জিতছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং নিয়ে দুর্বলতা ফুটে উঠছিল বারবার। তবে চলতি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্যাটিংয়েও বাংলাদেশের দাপট স্পষ্ট।
টপ অর্ডার, মিডল অর্ডারের পাশাপাশি লোয়ার অর্ডার থেকেও রান আসছে। এই প্রক্রিয়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিন ম্যাচে এক সেঞ্চুরি, দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ২৩৫ রান করা জ্যোতিই এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহ।
জ্যোতি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমাদের দৃশ্যমান সমস্যা ছিল ব্যাটিং। বোলাররা ভালো করছিল, কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট সেভাবে চলছিল না। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে ব্যাটাররা দারুণ খেলছে। বিশেষ করে টপ অর্ডারে ধারাবাহিকভাবে রান এসেছে। এটা ছিল একমাত্র দিক যেখানে উন্নতির দরকার ছিল, আর সেই উন্নতিটাই এখন দেখা যাচ্ছে।’
সারাবাংলা/এসএইচএস