ইংল্যান্ডের আজব হ্যাটট্রিক, জাপানের মুগ্ধ করা ‘ফুটবল’
২৫ জুন ২০১৮ ১৯:৫০
আব্দুল আজীজ, সাবেক ফিফা রেফারী
বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত খেলতে আসা পানামা বড় পরাজয়ের স্বাদ পেল। ইংল্যান্ডের এটাকের কোন জবাব খুঁজে পাইনি পানামা। ঐতিহ্য , অভিজ্ঞতা, স্কিল, সমন্বয় সব কিছুর ফল হচ্ছে প্রথমার্ধে ৫ গোল খেয়ে ফেলা। যার মধ্যে ২ টা আবার পেনাল্টি। এই বিশ্বকাপ হচ্ছে পেনাল্টির বিশ্বকাপ, এরকম উঠতে বসতে পেনাল্টি আগে দেখেছি বলে মনে হয় নি। প্রযুক্তি এটার একতা কারণ হতে পারে। আগে রেফারিরা পেনাল্টি দিতে অনেক দ্বিধায় থাকতো। এখন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে প্রযুক্তি।
ইংল্যান্ড যে গতিতে গোল দেওয়া শুরু করেছে তাতে এক সময় মনে হল ১০ গোল না দিয়ে ফেলে। তবে হা দ্বিতীয় অর্ধে গোলে লাগাম পরবে এটাও ভেবেছিলাম। কারণ নক আউট নিশ্চিত হওয়ার পর কেউ কার্ডও খেতে চাইবে না আহত হতেও চাইবে না। তারপরেও আরেকটি গোল দিল হ্যারিকেন , করলো হ্যাট্রিক। তবে এমন আজব গোলের মাধ্যমে হ্যাট্রিক আগে দেখেনি। কেনের নিজেরও মনে হয় বুঝতে সময় লেগেছে গোলটি যে সে দিয়েছে।
উপভোগ্য ছিল পানামার গোলটি। পারফেক্ট ক্রস থেকে চলন্ত বলে দৌড়ে এসে পা লাগিয়ে গোল দেওয়ার পর তাদের উল্লাসই বলে দেয় কত খুশি তারা। তাদের ইতিহাসে বিশ্বকাপের প্রথম গোল। ইংল্যান্ডের ৬ গোলের উদযাপনকেই ছাপিয়ে গেল তাদের ১ গোলের উদযাপন।
উপভোগ্য খেলা ছিল অবশ্য জাপান আর সেনেগাল। দুর্দান্ত গতির সেনেগালের সাথে দারুণ সমন্বয় ও পরিশ্রমী জাপান। জাপানের খেলোয়াড়দের বোঝাপড়া খুব ভালো। তবে কেউ খেয়াল করেছে কি না জানি না, আমি জাপানের গোলকিপারের মধ্যে দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে সে একটা গোল বাঁচাতে পারতো।
পোল্যান্ডের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল কলম্বিয়ার সাথে হারার মাধ্যমে। টপ সিডেড টিম তারা এই গ্রুপের। তারা এত অসহায় আত্মসমর্পন করল দেখে খারাপ লাগল। জাপানের ক্ষতি করা ছাড়া এই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের আর পাওয়ার কিছু নাই।
শ্রুতিলিখন: রাসয়াত রহমান জিকো