সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামেও দাপট দেখাচ্ছিলেন সফরকারীরা। আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামসের ব্যাটে দারুণভাবে এগুচ্ছিল জিম্বাুবুয়ে। তবে দিনের তৃতীয় সেশনে এসে জিম্বাবুয়ানদের গতিরোধ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
রোদে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করাতে অসুস্থ হয়ে পরেন নিক ওয়েলচ। পরে স্বেচ্ছায় ক্রিজ ছাড়েন দারুণ এক ফিফটি পাওয়া জিম্বাবুয়ান ব্যাটার। তারপরই যেন ছন্দ হারাল জিম্বাবুয়ের। ১৫ রানের ব্যবধানে পরে আরও দুটি উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ানদের একক দাপট কমিয়েছে বাংলাদেশ।
দিনের ৭২ ওভারের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৪ উইকেটে ১৭৯। ১ রানে অপরাজিত আছেন উয়েসলে মাদভেরে। তার সঙ্গে শূন্য রানে ব্যাট করছেন টাফাডজোয়া সিগা।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) চ্ট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। দিনের প্রথম সেশনটা ছিল সমানে সমান। ২ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তোলে সফরকারীরা। দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি জিম্বাবুয়ের।
নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস দারুণ ব্যাটিংয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন এই সেশন। চা বিরতির আগে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৬২। ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়েলচ। আর ৫৫ রানে শন উইলিয়ামসন। তখন মনে হচ্ছিল চট্টগ্রামে হয়ত বড় স্কোরই গড়বে জিম্বাবুয়ে।
তবে তৃতীয় সেশনের শুরু থেকে মোড় ঘুরে যায় বাংলাদেশের দিকে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন ওয়েলচ। ফেরার আগে ১৩১ বল খেলে ৩টি চার ২টি ছক্কায় ৫৪ রান করেন ওয়েলচ। জুটি ভাঙারতেই যেন খেই হারিয়ে ফেলল জিম্বাবুয়ে!
খানিক বাদে পাঁচে নামা ক্রেইগ আরভিনকে (৫) তুলে নেন নাঈম হাসান। দুই ওভার পরে গলার কাঁটা হয়ে থাকা শন উইলিয়ামসকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় ৬৭ রানে আউট হন উইলিয়ামস। ১৬৬ বল খেলে ৭টি চার ১টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব, মেহেদি হাসান মিরাজ। দুই উইকেট নিয়েছেন অপর স্পিনার নাঈম হাসান।