Tuesday 29 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মোহামেডানের স্বপ্নভঙ্গ, ফের প্রিমিয়ার লিগ জিতল আবাহনী

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৭

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান ও আবাহনীর আজ লড়াইটা ছিল ‘অলিখিত’ ফাইনাল। জিতবে যারা প্রিমিয়ার লিগ তাদের। অলিখিত ফাইনালে জিততে পারেনি মোহামেডান। মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা ততৃীয় বারের মতো প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে আবাহনী।

প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর এটা ২৪তম শিরোপা। এই টুর্নামেন্টে মোহামেডানের শিরোপা নয়টি। এবার শিরোপা জিততে মরিয়া ছিল মোহামেডান। একঝাক তারকা ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

বিজ্ঞাপন

তামিম ইকবালের নেতৃত্ব আসরের শুরুর দিকে দুর্দান্ত খেলছিলও দলটি। কিন্তু তামিম অসুস্থ হয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ার পর থেকেই মোহামেডানের ছন্দপতন। তাছাড়া মোহামেডানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার জাতীয় দলের হয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলতে চলে যান। এদিকে দলটির তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ পরেন চোটে। তরুণ তাওহিদ হৃদয় পরেছেন দুই দফার নিশেধাজ্ঞায়। তাদের অনুপস্থিতি পূরণের জন্য বেঞ্চে ততো শক্তি ছিল না মোহামেডানের। লিগের শেষ দিকে এসে এসব বিষয় ভুগিয়েছে মোহামেডানকে।

আজ অলিখিত ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে ২৪০ রানের মাঝাড়ি সংগ্রহ গড়তে পেরেছে মোহামেডান। এই রান যে জয়ের জন্য যথেষ্ট নয় পরে সেটা ভালোভাবেই টের পেয়েছে দলটি। ৫৬ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে আবাহনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঝাড়ি পুঁজি নিয়ে বোলিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল মোহামেডান। ইবাদত হোসেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দিয়েছিলেন। এরপর পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জিসান আলম। ২৮ রান করা ইমনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। এরপর দ্রুত এসএম মেহেরব হাসানকে তুলে নেন নাসুম আহমেদ। একশর আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আবাহনী।

বিজ্ঞাপন

জিসান আলম একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানছিলেন। ব্যক্তিগত ৫৫ রানের মাথায় নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরেন জিসান। খেলা তারপর বেশ জমে উঠেছিল। তবে এরপর আবাহনীর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ মিঠুন অবিচ্ছিন্ন ১৩৫ রানের জুটি গড়ে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত করেছেন।

৬৫ বলে ৬টি চার ৫টি ছক্কায় ৭৮ রানের অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ৭৯ বলে ৬টি চার, ২টি ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মিঠুন। মোহামেডানের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন ও ইবাদত হোসেন।

এরআগে মোহামেডানের মাঝাড়ি ইনিংসে বড় অবদান মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলামের। তৌফিক খান তুষারের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান তোলেন রনি তালুকদার। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ফেরেন রনি। তার আগে তৌফিককে ফেরান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

এরপর ফরহাদ হোসেন চেষ্টা করেছেন দলকে এগিয়ে নেওয়ার। ব্যক্তিগত ৪২ রানের মাথায় ফেরেন ফরহাদ। এরপর হাল ধরেন অভিজ্ঞ মাহদুউল্লাহ ও আরিফুল। দুজনের গড়েন ১১৪ রানের জুটি। তাতে মাঝাড়ি স্কোর নিশ্চিত হয় মোহামেডানের।

মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল দুজনেই ঠিক ৫০ রানের আউট হযেছেন মোসাদ্দেক হোসেনের বলে। আবাহনীর হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয় দুটি করে উইকেট নেন।

সারাবাংলা/এসএইচএস

ডিপিএল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর