তার বাবা ছিলেন পাকিস্তান আমলে ডিস্ট্রিক্ট জাজ। বনেদী ঘরের অবস্থাপন্ন পরিবারে জন্মানো ফতেহ আলী চৌধুরীর চলাফেরা ছিল অভিজাত ধরনের, বর্তমান যুগের ভাষায় যাকে আমরা ক্যুল ড্যুড বলতে পারি। রঙচঙ-এ হালফ্যাশনে পোশাক-পরিচ্ছদে বাবার সরকারী গাড়িতে করে …
“ওখানে (শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি) গিয়ে প্রথমেই একটা জিনিস মনে পড়ে। কত নরপশু এই হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত ছিল? হাজার হাজার লোককে এমন ঠান্ডা মস্তিষ্কে দু’দশ বা বিশজনে হত্যা করতে পারে না। তাহলে এই খুনীর দল গেল কোথায়? শিয়ালবাড়ি …
সত্যি আমি যদি মানুষ না হতাম! আমার যদি চেতনা না থাকতো! এর চেয়ে যদি হতাম কোন জড় পদার্থ! তাহলে শিয়াল বাড়ির ঐ বধ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে মানূষ নামধারী এই দ্বিপদ জন্তুদের সম্পর্কে এতোতা নীচ ধারণা হবার দুর্ভাগ্য …
১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল কল্যাণপুরে যে ভয়ংকর নারকীয় তান্ডব চালিয়েছিল বিহারী নরপিশাচেরা, তাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল অসংখ্য পরিবার। শত শত মানুষের লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল চারপাশে, এমনকি অনেকক্ষেত্রে হতভাগ্য মানুষগুলোর শেষকৃত্য বা দাফনটুকুও করার …
কল্যাণপুরের ১২ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়িটির নাম ছিল রীতাভিলা। এলাকার অন্য বাড়িগুলো তুলনায় পাকা ও দ্বিতল এই বাড়িতেই একাত্তরের ২৮ এপ্রিল সবচেয়ে নৃশংসতম গণহত্যাটি সংঘটিত হয়। বাড়ির মালিক পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার প্রেস ম্যানেজার আহসান …
ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ, ১৯৭১ সাল। পাকিস্তানী সেনারা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমপর্ণ করেছে, শত্রুমুক্ত আলো-হাওয়ায় নতুন প্রাণসঞ্চার হয়েছে যেন, নয় মাসের অবরুদ্ধ শহর-গ্রামের হাজারো মানুষেরা বেরিয়ে এসেছে, রাস্তায় রাস্তায় হাতে হাতে নতুন পতাকায় বিজয় মিছিল যাচ্ছে একের পর …
ক্ষমতাসীন দলের ভাইস চেয়ারম্যান দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুরক্ষিত ভবনে বসে হামলার ছক ও পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিচ্ছে। মিলিট্যান্ট ট্রেইনড ঘাতক দলকে সরাসরি তত্বাবধান করছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী …
৭ই জুন, ১৯৮১। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির গেটে ক্রমাগত ঝন ঝন শব্দ। দেখা গেলো, এক নারী আকুল নয়নে কাঁদছেন আর গেটের সাথে ক্রমাগত মাথা ঠোকরাচ্ছেন। মানুষটার নাম শেখ হাসিনা। তিনি ধানমন্ডি ৩২-এর বাবার বাড়ির …