July 8, 2018 | 4:09 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের আলোচিত ম্যাক্স হাসপাতালকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া অভিযানে পাওয়া বিভিন্ন ত্রুটি সংশোধনে হাসপাতালটিকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে অভিযান শেষে ম্যাক্স হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
এই কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালটির মূল সমস্যা হলো বিভিন্ন ভুইফোঁড় বা অখ্যাত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে সেগুলো ম্যাক্স হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের প্যাডে প্রিন্ট করে রোগিদের দেওয়া হয়। দেখা গেছে অর্ধেক দামে অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে এনে রোগীদের কাছ থেকে তার জন্য দ্বিগুণ দাম নেওয়া হচ্ছে। যা রোগীদের সাথে এক ধরনের প্রতারণা। এছাড়া হাসপাতালের প্যাথলজিতে কোনো মাইক্রোবায়োলজিস্টকে নিয়োগ দেওয়া হয় নি। অপারেশন থিয়েটারে পাওয়া গেছে অনুমোদনহীন ওষুধ। অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যবহৃত অনেক সার্জিক্যাল আইটেমের মেয়াদ নেই। ম্যাক্স হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও দুই বছর আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে ড্রাগ লাইসেন্সের।
এদিকে র্যাবের অভিযানের প্রতিবাদে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক এবং চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের বিষয়ে সারোয়ার আলম বলেন, আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়। চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। চিকিৎসকরা এই অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। সরকারের চেয়ে ক্ষমতাশালী কেউ নেই। চিকিৎসকরা আইন মানতে বাধ্য। তিনি বলেন, ‘পলিসি লেভেলে কথা বলতে চাইলে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। ’
অভিযানে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাউকে সরকার ছিনিমিনি খেলতে দেবে না। চিকিৎসকদের এই আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন
আরো পড়ুন : ম্যাক্স হাসপাতালে নানা অনিয়ম, র্যাবের অভিযান চলছে