জলবায়ু পরিবর্তন: ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ
২৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:০৯
সারাবাংলা প্রতিবেদক
ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণতা বৃদ্ধি এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন শহরগুলোকে অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। আর এমন পরিস্থিতিতে সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে শহরের পরিবেশ আরও খারাপ হবে। অনুষ্ঠানে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ধারণাপত্রে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা জলবায়ুর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করেছে, তার প্রভাবে গত দুই দশক ধরে বিশ্ব জুড়ে লাখ লাখ মানুষের উপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে বিশ্বের সবচেয়ে “ঝুঁকিপূর্ণ” দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
রোববার বিকেলে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস্ বাংলাদেশ ভবনে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত “জলবায়ু সহনশীল নগর: বিকল্পের অনুসন্ধান” বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
ধারণাপত্রে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা জলবায়ুর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করেছে, তার প্রভাবে গত দুই দশক ধরে বিশ্ব জুড়ে লাখ লাখ মানুষের উপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নগরগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র ২০১৭ সালে বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার সমস্যা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এবং পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এই জলাবদ্ধতা ও অতিবৃষ্টির কারণে সাধারণ জনগণের, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চলাচল কষ্টকর ও অনিরাপদ হয়ে উঠছে, পানি ও বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় সেবাগুলোর সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, “শতকরা ৩৪ শতাংশ মানুষ নগরে বসবাস করে। গত ২০ থেকে ২৫ বছরে নগরায়ন পরিকল্পিতভাবে হয়নি। যেখানে সেখানে ঘর-বাড়ি উঠে যাচ্ছে, আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সমস্যা রয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার অভাব এবং ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা না করে তৈরি অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত নগরায়ন শহরের পরিস্থিতি খারাপ করছে, সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত সমস্যাগুলো।”
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগের উপ প্রধান নুরুন্নাহার বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শহরে মাইগ্রেসন বাড়ছে। পরিকল্পনামাফিক কাজ না হলে শহর ব্যবস্থাপনা কঠিন হবে। তাই সমস্যা সমাধানে আমাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে।”
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. সলিমুল হক বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন একটি সমস্যা, তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে নগরায়নের বিষয়। তাই যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি- বাংলাদেশের সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর খুরশিদ আলম বলেন, “বাংলাদেশ সমস্যাগুলো খুঁজে বের করেছে। এখন সমন্বিতভাবে সমধানে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়ন সমস্যা সমধানে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে অ্যাকশনইড বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
জেএ/এটি