Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লাইলাতুল কদরের রাতে মুসলিম হিসেবে করণীয় কী?

মিরাজ রহমান
১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫১

লাইলাতুল কদরে আমাদের করণীয়, বর্জনীয় কী? মহিমান্বিত এ রজনীতে মাত্র ১ ঘন্টা আমল-ইবাদতে সময় ব্যয় করা মানে অন্য সময়ে ৮ বছর ৩৩ দিন বা ৭২ হাজার ৯৯৬ ঘন্টা লাগাতার আমল-ইবাদতে সময় ব্যয় করার সমান।

লাইলাতুল কদরের রাতে করণীয়

মহিমান্বিত এ রজনীতে প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য করণীয় কিছু আমল রয়েছে। কারণ এ রাতটি বছরে একবারই আসে এবং একটি কদরের রাত পাওয়ার অর্থ হলো- হাজার মাস একনিষ্টভাবে মহান প্রভূর ইবাদত কাটানোর সৌভাগ্য অর্জন করা।
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের প্রথম করণীয় হলো- পবিত্র রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বেজোড় রাত যেকোনো মূল্যে ইবাদত-বন্দেগীতে কাটানোর নিয়ম করে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

দ্বিতীয় করণীয় হলো- প্রতিটি বেজোড় রাতে মাগরিব, ইশা এবং ফজরের নামাজ অবশ্যই জামাতের সঙ্গে মসজিদে আদায় করা।
তৃতীয় করণীয় হলো- সালাতুত তাসবীহ ও বিভিন্ন নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকারসহ যে কোনো ধরনের নেক আমলে সময় কাটানো।

চতুর্থ করণীয় হলো- বেশি বেশি তাওবা-দোয়া-মোনাজাত করা। তিরমিজি শরীফের ৩৫১ নং হাদীসে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘একদা আমি রাসুলকে (সা.) জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি; তবে আমি কি করব? তখন রাসুল (সা.) আমাকে এই দোয়া পাঠ করার জন্য বললেন। দোয়াটি হলো: (আরবি উচ্চারণ) ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি’। বাংলা অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালবাসেন আপনি। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’

পঞ্চম করণীয় হলো- এ রাতে দান-সাদাকাহ করাকেও অধিক উত্তম বলা হয়েছে।
একটি বিষয় এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেই নয়, তা হলো- পিরিয়ড চলাকালীন এই সময়ের হায়েজা নারীগণ এ রাতে কীভাবে আমল-ইবাদত করবেন? তারা কি তাহলে মহিমান্বিত এ রজনীর সাওয়াব-সৌভাগ্য অর্জন থেকে বঞ্চিত থাকবেন? না, অবশ্যই না। পিডিয়ডে থাকা বা হায়েজা নারীগণ এ রাতে যে কোনো ধরনের নামাজ ও কোরাআন তেলাওয়াত না করে জায়নামাজে বসে বেশি বেশি দোয়া-ইস্তিগফার-তাওবা ও জিকির-আজকার করতে পারবেন এবং দান-সাদাকাহও করতে পারবেন।

পরিশেষ রাসুল (সা.)-এর কিছু হাদীস স্মরণ করিয়ে দেই। ইবনে মাজাহ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ‘শবে কদর’ থেকে বঞ্চিত হলো; সে যেন সমগ্র কল্যাণ থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত হলো।’

আবু দাউদ শরিফে উল্লেখ আছে, হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ‘লাইলাতুল কদর’ পেল কিন্তু ইবাদত-বন্দেগীতে সময় কাটাতে পারলো না, তার মতো হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই।’
সুতরাং পবিত্র রমজানের মাসে লাইলাতুল কদর আপনার আমার দরজায় কড়া নাড়ছে। এ রাতটিকে খুঁজে আমল-ইবাদতে কাটিয়ে সৌভাগ্যবানদের তালিকাতে নাম লেখাবো নাকি হতভাগা থেকে যাবো; সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদেরকেই।
লেখক: সম্পাদক, ইসলাম প্রতিদিন

সারাবাংলা/এসবিডিই

লাইলাতুল কদরের রাতে মুসলিম হিসেবে করণীয় কী?


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘তুফান’ আসছে হিন্দি ভাষায়
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯

সম্পর্কিত খবর