কুড়িগ্রাম: তিন বছর ধরে বন্ধুর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে দফায় দফায় ধর্ষণ করার অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাসিন্দা মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে ভূরুঙ্গামারী সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ভূরুঙ্গামারী সার্কেল) শওকত আলী।
মকবুল হোসেনের বাড়ি বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল কুদ্দুস প্রধান। মকবুলের স্ত্রীর নাম মুক্তা বেগম। তার বাবার বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, তিন বছর আগে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম ধর্ষণের শিকার হয় সে। মকবুল শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার সময় তাকে নিয়ে যায়। সঙ্গে মকবুলের স্ত্রী মুক্তাও ছিলেন। সেখানে একদিন মুক্তা তাকে ও মকবুলকে একটি ঘরে রেখে বাহিরে যায়। একা পেয়ে মকবুল তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাকে বিয়েও করেন মকবুল। এরপর থেকে প্রায়ই মকবুল তাকে মিলনে বাধ্য করতেন।
গত বুধবার (১২ জুন) সকালে মোবাইল ফোনে কল করে প্রতিবেশী শামছুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মকবুল তাকে আবারও ধর্ষণ করেন। এ সময় মুক্তা বেগম তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এদিন (সোমবার) সে নিজে বাদী হয়ে কচাকাটা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে, জানায় ভুক্তভোগী কিশোরী।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ভুরুঙ্গামারী সার্কেল) শওকত আলী জানান, মামলা হওয়ার পরেই আমরা অভিযান শুরু করি। দুপুরে উপজেলা চত্বরে সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সামনে থেকে মকবুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কচাকাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এটি