উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বিশ্বজুড়ে একদিনে পাঁচ লাখের বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। খবর রয়টার্স।
এর আগে, ১৫ অক্টোবর বিশ্বে প্রথমবারের মতো একদিনে চার লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন।
তার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে, বুধবার (২৮ অক্টোবর) এ সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে, বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ এবং লাতিন আমেরিকার একাংশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণের নতুন ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের কোথাও কোথাও দৈনিক শনাক্তে নতুন নতুন রেকর্ডও হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় ইউরোপের কয়েকটি দেশের সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তার মধ্যে ফ্রান্স লকডাউনে এবং জার্মানি আংশিক ল্কডাউনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে গত শুক্রবারও ৮৪ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির প্রায় সব অঞ্চলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিধিনিষেধ কঠোর করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সীমিত করতে তেমন একটা আগ্রহ দেখায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার নতুন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে। দেশজুড়ে মাস্ক বাধ্যতামূলক না করা হলেও দেশটিতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মৃত্যু পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে গবেষকরা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে আবির্ভূত হওয়ার পর এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু পেরিয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার।
পাশাপাশি, করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তদের দুই-তৃতীয়াংশই মিলেছে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকায়। এই তিন অঞ্চল কোভিড-১৯ এ মোট মৃত্যুর ৭৬ শতাংশের সাক্ষি হয়েছে।
অপরদিকে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ইউরোপে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রয়টার্সের হিসাবে বুধবারই মহাদেশটিতে প্রথমবার ২৪ ঘণ্টায় আড়াই লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোতে সরকারি হিসাবেই আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। মৃত্যু পেরিয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজার।