হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়া জামিন পেয়েছেন মঙ্গলবার (২০ মে)। তবে বিমানবন্দর থেকে আটক ও পরে মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ঘটনায় দেশের শিল্পী সমাজ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেকেই নিজেদের অবস্থান থেকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সবচেয়ে সরব হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এই অভিনেতা এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “শিল্পীরা দেশের জন্য কাজ করেন, দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। অথচ এখন তাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।”
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জায়েদ বলেন, “তিনি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। স্যারের কাছে বিনীত অনুরোধ, যেন শিল্পীদের অহেতুক হয়রানি না করা হয়। আপনি একজন শিল্পপ্রেমী মানুষ, জানেন প্রকৃত শিল্পীরা অন্যায় করেন না।”
এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আহ্বান জানান জায়েদ খান। তার ভাষায়, “ফারুকী ভাই নিজেও একজন শিল্পী মানুষ। আপনি ভালো করেই জানেন শিল্পীদের প্রতি এমন আচরণ কতটা অন্যায়।”
ফারিয়ার প্রসঙ্গে জায়েদ আরও বলেন, “আন্দোলনের সময় সে (ফারিয়া) কানাডায় ছিল। এমনকি আমার সঙ্গেও পারফর্ম করেছে। অথচ তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে, আমাকেও। অথচ আমি বহু আগে থেকেই আমেরিকায় আছি। এভাবে মামলা দিয়ে শিল্পীদের হয়রানি করা কতটা যৌক্তিক?”
জায়েদের মতে, সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় এবং জনপ্রিয় যেসব শিল্পী রয়েছেন, তাদেরই লক্ষ্য করে এসব মামলা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৮ মে (রবিবার) থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে জানা যায়, ভাটারা থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।
এই মামলায় নুসরাত ফারিয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জায়েদ খান, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনাসহ আরও ১৭ জন অভিনয়শিল্পীকে।