হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার একদিন পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। কারাগারের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন তার মা ফেরদৌসী বেগম এবং পরিবারের কয়েকজন সদস্য। কারাগার থেকে বেরিয়ে বিমর্ষমুখে মায়ের সঙ্গে গাড়িতে ওঠেন ফারিয়া। কালো কাচে ঢাকা একটি গাড়িতে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। এক রাত কারাগারে কাটানোর পর মঙ্গলবার সকালে আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কারা কর্তৃপক্ষ দুপুরের দিকে ফারিয়াকে মায়ের জিম্মায় বুঝিয়ে দেন। এ সময় কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি পরিবারের পক্ষ থেকেও।
গত রোববার (১৮ মে) সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকার মিন্টু রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। প্রায় ১০ মাস পর, চলতি বছরের ৩ মে, তিনি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ২৮৩ জনকে আসামি করে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। তাদের মধ্যে নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জন তারকা শিল্পী রয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র ও নাট্য অঙ্গনের পরিচিত মুখ।
আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে পুলিশ। এরপরই শুরু হয় তদন্ত ও গ্রেফতার অভিযান। গ্রেফতারের দুই সপ্তাহ পর পুলিশের তালিকায় থাকা আসামিদের একজন হিসেবে ফারিয়াকে আটক করা হয়।
জামিনে মুক্তি পেলেও মামলাটি এখনও প্রাথমিক তদন্তাধীন রয়েছে। নুসরাত ফারিয়া বা তার আইনজীবী পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।