টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত অভিনয়শিল্পী খোঁজা জন্য আয়োজন করেছিল রিয়েলিটি শো ‘স্টার হান্ট’। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের চ্যানেলটি এবারের ঈদের জন্য বানিয়েছে ৩টি নাটক। এগুলো প্রচার হবে ঈদের ৫ম দিন। নাটকগুলো হচ্ছে─’ভূত শাশুড়ি’, ‘নেমেসিস’, ‘মরিয়ম’।
একক নাটক ‘ভূত শাশুড়ি’
সহিদ উন নবীর পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জাহের আলভী, সানজিদা চৌধুরী, সাকিব হোসেন, মনিরা মিঠু। প্রচারিত হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
নাটকের গল্পে সেতারা বেগম মারা যাওয়ার পর তার আত্মা দেহ ত্যাগ করে এবং সে দেখতে পায় এক নির্মম বাস্তবতা। জীবিত অবস্থায় তিনি মনে করতেন তার ছোট ছেলের বউ মিতুই সংসারে অশান্তির মূল কারণ। বরং তিনি আদর করতেন বড় ছেলে, বড় ছেলের বউ, মেয়ে এবং জামাইকে। কিন্তু আত্মা হয়ে সংসারে ঘোরাঘুরির সময় তিনি বুঝতে পারেন, ছোট ছেলে আর মিতুই ছিলেন সংসারের প্রকৃত রক্ষক। অন্যরা শুধু মুখে ভালোবাসার অভিনয় করেছে। এই উপলব্ধি তাকে গভীরভাবে অনুতপ্ত করে। নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে তিনি বড় ছেলের বউ ও অন্যান্যদের ভূতের ভয় দেখিয়ে শাস্থি দেন এবং ছোট ছেলে ও মিতুর কাছে ক্ষমা চান। নাটকটি হালকা হাস্যরস, পারিবারিক টানাপড়েন এবং আবেগের সংমিশ্রণে একটি ভিন্নধর্মী ভৌতিক-নাট্য অভিজ্ঞতা দিবে দর্শকদের।
একক নাটক ‘নেমেসিস’
রাকেশ বসু পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আরোশ খান, মিষ্টি ঘোষ। প্রচারিত হবে রাত ৮টায়।
নাটকের গল্পে রাতের বেলায় লম্বা রাস্তা দিয়ে একটা গাড়িকে যেতে দেখা যায়। গাড়ির চালক অর্ক। ও গাড়ি চালাতে চালাতে ক্যামেরায় কথা বলে আমি অর্ক। এ শহরে একা থাকি, মানে বাবা-মা কেউ নেই। একটা ক্রিয়েটিভ এজেন্সিতে কাজ করি। পার্সোনালি সবচেয়ে কাছের মানুষটি হলো আমার বন্ধু নিলয়। আমি যেখানে নিলয়ও সেখানে। এটা নিয়ে আমার গার্লফ্রেন্ড দিশার সাথে প্রায়ই ঝগড়া হয় আর মাঝে মাঝে ব্রেকআপ। অবশ্য প্রত্যেকবারই নিলয় তাকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আমার নিলয়ের একটা ভীষণ ভালোলাগার ব্যাপার আছে। রাত-বিরাতে গাড়ি চড়ে বেড়ানো। আজকেও আমরা দুজনে বের হয়েছি। অর্কর কথা শেষ হওয়ার আগেই গাড়ির সামনে কি জন্য একটা পড়ে। ও খুব কড়া ব্রেক করে। কিন্তু…. অর্কর হাত-পা কাঁপতে থোকে। গাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে লোকটা। নিলয় গাড়ি থেকে নেমে ওর পাশে এসে দাঁড়ায়। লাশের পাশে পড়ে থাকা মোবাইলটা নিজের পকেটে ঢোকায় নিলয়। এই লোককে এখানে কবর দিয়ে না ফেললে তোর জীবন শেষ। অর্ক বোকার মত নিলয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে।
একক নাটক ‘মরিয়ম’
গৌতম কৈরীর পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি, হাফিজ রহমান।
নাটকটিতে দেখা যাবে প্রতিদিন সকালে মরিয়ম একটি নির্দিষ্ট দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। আর সেখানে দাঁড়ালেই মাহবুব দোকানের ভেতর থেকে থুতু ফেলে মরিয়মের দিকে তাকিয়ে। মরিয়ম করুণদৃষ্টিতে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকে। মাহবুব আবারও থুতু ফেলে। মরিয়ম ফিরে যায়। মরিয়মের দিকে কেন এই থুতু ফেলা মাহবুবের, কীসের এত ঘৃণা তা জানতে আমাদের যেতে হবে একটু পেছনে।
এক রেডিমেইড পোশাকের আউটলেটে মরিয়ম কাজ করে সেলসগার্ল হিসেবে। তবে মরিয়মের একটাই ইচ্ছা, সেলসগার্ল থেকে ক্যাশিয়ার হওয়া। ম্যানেজার পলাশ মরিয়মকে কম্পিউটার শিখতে বলেন। এটা জানলে মরিয়ম ক্যাশিয়ারেরও কাজ পাবে। কম্পিউটার শিখতে শুরু করে মরিয়ম। কম্পিউটার শিখতে গিয়ে মাহমুদ নামের এক ছেলের সাথে তার রিলেশন হয়। কম্পিটারে কাজ চালানোর মতো বিষয়গুলো শিখে ফেলে মরিয়ম। মাহবুবের সাথে রিলেশনও এখন প্রেম পেরিয়ে গেছে। দুজনে স্বপ্ন দেখছে সংসারের। মরিয়ম চাইলে পলাশ তাকে ক্যাশিয়ারের ব্যবস্থা করে দিবে। তবে পলাশকে একটা জিনিস দিতে হবে। সেটা হলো ৫০ হাজার টাকা। সেই টাকার ব্যবস্থা করে দেয় মাহবুব। যা নিয়ে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে।