বাংলাদেশে থেকে কোরিয়া পারফর্মেন্স করতে আসে একটি দল। যে টিমের লিডার লাবণ্য নামের মায়াময় এক মেয়ে। একই প্রোগ্রামে পারফর্মেন্স করে জয় ও লাবণ্যের দল। বাংলাদেশের লাবণ্যর ফোক ডান্স পরিবেশনায় মেতে উঠে হল ভর্তি দর্শক! পরের দিন জয়ের সভ্যতা নিয়ে নানা ধরনের বিদ্রূপে হতবাক হয় উপস্থিত সবাই। জয়ের কণ্ঠে শোনা যায় ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য ভালবাসার বাণী! লাবণ্য এমন জয়কে দেখে অবাক হয়!
লাবণ্যর হোটেলের পাশেই থাকে জয়। দিনে দিনে জয়-লাবণ্য ঘনিষ্ঠ হয়। কখনো লাবণ্য রাস্তায় পারফর্মেন্স করে জয়ের দলের সাথে। জয় কখনো একা সিউলের রাস্তায় মুখে কালার মেখে, অদ্ভুত আলখেল্লা পরে স্যাটায়ার করে সাম্প্রতিক নানা ইস্যুতে! ডেইলি লাইফেও খুব মজার মানুষ জয়! সারাক্ষণ তার মুখে হাসি লেগে থাকে। হাসি দিয়ে, ইতিবাচক চিন্তা ভাবনায় সব কিছু জয় করতে চায় জয়! লাবণ্য দিনে দিনে এমন জয়কে আবিষ্কার করে হতবাক হয়!
এদিকে তখন লাবণ্যর বাংলাদেশে ফেরার সময় হয়ে যায়! কিন্তু জয়কে ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করে না তার! জয় অদ্ভুত এক মায়া জড়িয়ে যায় লাবণ্যের সাথে! হয়ত জয়ও লাবণ্যর মায়ায় জড়িয়ে যায়। দুজনের মনের ভিতর বসবাস শুরু হয় দুজনের।
জানা যায় জয়ের মা-বাবা নেই। পরিবারের আর কেউও তেমন বেঁচে নেই। জয়ের মা-বাবা ২০১৩ সালে বাংলাদেশে রানা প্লাজা ধ্বসে মারা যায়। শ্রমিকের রক্ত জয়ের শরীরে! কোন যুদ্ধ, সংঘর্ষ মেনে নিতে পারে না জয়! ভালোবাসায় জয় করতে চায় এ বিশ্ব! সে ভালোবাসা মানবতার!
জয়ের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ নিয়ে সেদিন সিউল এয়ারপোর্টে আসে লাবণ্য! একটু পর জয় আসে তাকে বিদায় জানাতে! ঢাকায় ফিরে লাবণ্যর ভীষণ মনে পড়ে জয়কে। একদিন হুট করেই জয় এসে হাজির হয় লাবণ্যের বাসায়, এরপর …
এমনই এক গল্প নিয়ে ঈদ উপলক্ষে নির্মিত হলো একক নাটক ‘মনে পড়ে তোমাকে’। আহমদে তাওকীর-এর রচনা ও হাসান রেজাউল-এর পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও তানিয়া বৃষ্টি। প্রচারিত হবে ঈদের দিন (শনিবার) রাত ৮টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে।