সিনেমার রূপালী পর্দার বাইরের গল্পগুলো কখনো কখনো বাস্তব জীবনের চেয়েও বেশি নাটকীয়। আর সেই নাটকীয়তাই যেন ঘিরে ধরেছে কারিশমা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী এবং ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরের শেষযাত্রাকে। মৃত্যুর চার দিন পরেও তার মরদেহ ভারতের মাটিতে পৌঁছাতে পারেনি। কারণ, একাধিক প্রশাসনিক এবং আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে মরদেহ ফেরানোর কাজ।
বিলম্বের কারণ অনেকগুলো, যার মধ্যে প্রধান হল—সঞ্জয় কাপুর মার্কিন নাগরিক, এবং তার মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। ফলে মরদেহ ভারতের মাটিতে আনার আগে এই তিন দেশের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং আইনি কাগজপত্র সম্পন্ন করতেই সময় লাগছে।
বিশেষ করে যেসব বিষয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে _
ডেথ সার্টিফিকেট এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট: ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া মরদেহ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।
মার্কিন কনস্যুলেটের ছাড়পত্র: যেহেতু তিনি আমেরিকার নাগরিক, তাই মরদেহ আন্তর্জাতিকভাবে সরানোর আগে মার্কিন কনস্যুলেটের অনুমতি লাগছে।
ভারতীয় অনুমোদন: মরদেহ দেশে এনে সৎকার করতে হলে ভারতের ইমিগ্রেশন এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের একাধিক কাগজপত্র প্রয়োজন।
সঞ্জয়ের মরদেহ বর্তমানে লন্ডনের স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। মরদেহ ভারতে পাঠানোর জন্য এখনো অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার।
সঞ্জয়ের বাবা, খ্যাতনামা ব্যবসায়ী অশোক সচদেব গণমাধ্যমকে জানান, ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর একাধিক কাগজপত্রে সই করতে হবে। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই আমরা মরদেহ দিল্লিতে নিয়ে আসতে পারব।
অন্যদিকে, করিশমা কাপুর এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে কোনো মন্তব্য না করলেও, কাপুর পরিবার ও ঘনিষ্ঠরা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাইফ আলি খান ও সাবা আলি খান সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন), যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এক ঘোড়দৌড় পোলো ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সঞ্জয় কাপুর। ৫৩ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক সেই মুহূর্তে মাঠে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি মৌমাছি শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ার পরপরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।