ঈদ মানেই ঢালিউডে তারকাদের সিনেমা-যুদ্ধ। তবে এবারের ঈদে একক দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খান। রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তাণ্ডব’ এরই মধ্যে বাংলা সিনেমার ইতিহাসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে। মুক্তির প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়ার পর চলতি সপ্তাহে সিনেমাটি পা রেখেছে ৬ কোটির ঘরে।
‘তাণ্ডব’-এ শাকিব খানের বিপরীতে নতুনভাবে হাজির হয়েছেন সাবিলা নূর। প্রথমবার বড় পর্দায় এই জুটি দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত দর্শক। দুজনের কেমিস্ট্রি, অভিনয় ও গল্পের গতি দর্শকদের মাঝে এক নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সিনেমাটির সংলাপ, গান ও দৃশ্য নিয়ে রীতিমতো মাতামাতি চলছে।
সিনেমার বিপুল জনপ্রিয়তা মিলছে পরিসংখ্যানেও _
গতকাল (১৬ জুন) দেশের বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সে ছিল ‘তাণ্ডব’-এর ৯২টি শো, যার মধ্যে ৭১টি শো হাউজফুল গেছে।
শুধু স্টার সিনেপ্লেক্সেই চলেছে ৫২টি শো, যার মধ্যে ৪৯টি শো ছিল পুরোপুরি হাউজফুল।
অন্যদিকে _
লায়ন সিনেমাসে ১৩টির মধ্যে ৫টি হাউজফুল, ২টি প্রায় পূর্ণ।
কুষ্টিয়ার স্বপ্নীল সিনেপ্লেক্স ও গ্র্যান্ড সিলেট—২টি শো হাউজফুল।
বগুড়ার মম ইন ও মধুবন সিনেপ্লেক্সে—৩টি শো হাউজফুল।
গ্র্যান্ড রিভারভিউ সিনেপ্লেক্সে ৫টির মধ্যে ৪টি শো হাউজফুল।
এমনকি সিঙ্গেল স্ক্রিন হলগুলোতেও ‘তাণ্ডব’ দেখাতে হচ্ছে অতিরিক্ত শো। মুক্তির নবম দিনেও টিকিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ!
সিনেমাটি এখন পর্যন্ত মাল্টিপ্লেক্সগুলো থেকে আয় করেছে আনুমানিক ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর ঈদের ছুটির শেষে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ছুঁবে কিংবা পার হবে ৬ কোটির বর্ডারলাইন। ঢালিউডে ঈদের সিনেমা হিসেবে এই আয় এক অনন্য রেকর্ড বলে মনে করছেন প্রযোজক ও পরিবেশকরা।
এই সাফল্যের পেছনে একদিকে যেমন শাকিব খানের স্টার পাওয়ার কাজ করছে, অন্যদিকে পরিচালক রায়হান রাফীর নির্মাণশৈলীও আলাদা করে প্রশংসা পাচ্ছে। গল্পের টান টান উত্তেজনা, নির্মাণের আধুনিকতা এবং আবেগময় সংলাপ সব মিলিয়ে দর্শক হলমুখী হয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।
বর্তমান সময়ে বাংলা সিনেমা যখন নতুন করে দর্শকদের হলে ফেরাতে লড়ছে, তখন ‘তাণ্ডব’ যেন এক আশার আলো। শাকিব খানের তারকাখ্যাতি, সাবিলার সপ্রতিভ অভিনয় ও রাফীর কৌশলী নির্মাণ একত্র হয়ে তৈরি করেছে এমন এক অভিজ্ঞতা—যা দর্শককে আবারও হলমুখী করেছে।
এই সাফল্য শুধু ‘তাণ্ডব’-এর নয়, পুরো ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির জয়। এখন শুধু অপেক্ষা, এই তাণ্ডব কতদূর ছড়িয়ে যায়!