প্রথমবারের মতো উর্দু গানে কণ্ঠ দিলেন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল সংগীতশিল্পী সিঁথি সাহা। আর সেই যাত্রায় তার সঙ্গী হয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী শাফকাত আমানত আলী। গানের শিরোনাম— ‘দো পিয়াসি দিল’, অর্থাৎ ‘দুই তৃষ্ণার্ত হৃদয়’। হৃদয় ও সংস্কৃতির সীমানা ছুঁয়ে যাওয়া এই দ্বৈত গানটি শুধু দুই শিল্পীর মধ্যকার এক অনবদ্য মেলবন্ধনই নয়, বরং এটি এক নবতর সাংস্কৃতিক সংযোগের প্রতীক।
গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আসিফ মাহমুদ। আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার থাকলেও সুর ও আবহে রয়ে গেছে গজলের নরম স্নিগ্ধতা, যা শ্রোতাকে মনে করিয়ে দেয় মেহেদি হাসান বা জগজিৎ সিংয়ের ক্লাসিক ধারাকে। ভিডিওতেও দেখা যায় দুই শিল্পীকে; পেছনে ব্যবহৃত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লোকেশন ও মিনিমাল সেট ডিজাইন, যেখানে আলো ও ছায়া গানের আবেগকে গভীর করে তোলে।
‘দো পিয়াসি দিল’ গানটি উৎসর্গ করা হয়েছে পাকিস্তানের তিন কিংবদন্তি সংগীত ব্যক্তিত্ব – মেহেদি হাসান, রবিন ঘোষ, এবং মেহনাজ-কে। এই গানটি যেন তাদের স্মৃতির প্রতি এক আধুনিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি প্রকাশ করে সিঁথি লেখেন, ‘শাফকতজির সঙ্গে আমার প্রথম উর্দু গান। একজন ভক্ত হিসেবে তার সঙ্গে গান গাওয়া আমার জীবনের এক বিশাল প্রাপ্তি।’
বাঙালি সংগীতপ্রেমীদের কাছে সিঁথি আধুনিক গানের জন্য। তবে এ গানের মাধ্যমে তার কণ্ঠের এক নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে—উর্দু উচ্চারণের দক্ষতা, গজলের আবেগ বোঝার ক্ষমতা ও আন্তঃসাংস্কৃতিক গান পরিবেশনের আত্মবিশ্বাস।
অন্যদিকে শাফকাত আমানত আলী উপমহাদেশের একজন সুপরিচিত গায়ক। পাকিস্তানের শাস্ত্রীয় সংগীতঘরানা ‘পাতিয়ালা ঘরানা’-র অন্যতম উত্তরাধিকারী। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে – ‘মিতওয়া’ (কাভি আলবিদা না কেহেনা), ‘বিন তেরে’ (আই হেট লাভ স্টোরিজ), ‘ইয়ে হোসলা’ (দরনা জরুরি হ্যায়), ‘মান কি লাগন’ (পা)।