ঢাকাই সিনেমার রাজপুত্র তিনি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে পর্দা কাঁপানো এক নাম—শাকিব খান। এবার সেই পরিচিতির গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্দায় পা রাখতে চলেছেন তিনি। বহুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল, হলিউডে কাজ করতে যাচ্ছেন শাকিব খান। অবশেষে সেই গুঞ্জনের বাস্তবায়ন শুরু হতে চলেছে—এবার নিজ মুখেই তা জানালেন মার্কিন প্রবাসী বাংলাদেশি নির্মাতা আসিক আকবর।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে আসিক আকবর নিশ্চিত করেছেন যে, তার পরবর্তী হলিউড প্রজেক্টে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন শাকিব খান। বর্তমানে ছবিটির স্ক্রিপ্ট বা চিত্রনাট্য লেখার কাজ চলছে। আর শাকিব খান থাকবেন ঠিক সেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে, যাকে ঘিরেই আবর্তিত হবে সিনেমার মূল কাহিনি।
এই সিনেমার আরেক চমক হলো কাস্টিং—শাকিব খানের বিপরীতে থাকবেন দুই নায়িকা, যাদের একজন বাংলাদেশি, অন্যজন হলিউডের পরিচিত মুখ। পাশাপাশি ছবির খলনায়ক চরিত্রে থাকবেন একজন খ্যাতনামা হলিউড অভিনেতা। সবমিলিয়ে এটি হতে যাচ্ছে একটি বৈশ্বিক প্রজেক্ট, যেখানে একসাথে ধরা দেবে ঢালিউড ও হলিউডের সম্মিলিত ছাপ।
হলিউডে দক্ষিণ এশীয় বা বিশেষ করে বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণ এখনো সংখ্যায় কম। তাই শাকিব খানের মতো তারকার এমন একটি প্রজেক্টে যুক্ত হওয়া নিঃসন্দেহে দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য গর্বের বিষয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট ছবি ও নায়কোচিত উপস্থিতির মধ্য দিয়ে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া এই অভিনেতার জন্য এটি একটি নতুন মাইলফলক।
শাকিব খান নিজেও বহুবার বলেছেন, তিনি চান দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে। সেই স্বপ্নকে এবার হয়তো বাস্তবে রূপ দিতে চলেছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আসিক আকবর হলিউডে ইতোমধ্যে বেশ কিছু সিনেমা নির্মাণ করেছেন। প্রবাস জীবনে থেকেও বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও শিল্পকে নিয়ে তার আগ্রহ স্পষ্ট। তার আগের কাজগুলোতে ছিল আন্তর্জাতিক মানসিকতা ও টেকনিক্যাল পরিপক্বতা। এই নতুন সিনেমাটি হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট, যা একইসঙ্গে দুই দেশের দর্শকের মন জয় করতে পারে।
এখনো সিনেমার নাম, বিস্তারিত কাহিনি কিংবা মুক্তির সময় নির্ধারিত হয়নি। তবে নির্মাতা জানালেন, প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শেষ হলে পুরো ইউনিট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করবে। শুটিং হবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে।
এই সিনেমা শুধু শাকিব খানের ক্যারিয়ারের নয়, বরং বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের জন্যও হতে পারে এক নতুন উড়াল। বিশ্বের মানচিত্রে দেশের সিনেমা ও তারকারা কতটা প্রতিভাবান—তা দেখানোর সুযোগ এনে দিতে পারে এই প্রজেক্ট।