একদিকে ‘দাম দাম’ গানে তার ঝলমলে পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ভক্তরা, অন্যদিকে সেই জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের জীবনে ঘনিয়ে আসছে একের পর এক আইনি বিপর্যয়।
সম্প্রতি দিল্লির আদালতে সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় অভিনেত্রী জ্যাকলিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, জ্যাকলিন শুধু তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন তা-ই নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে তদন্তকে ধীর করার চেষ্টা করেছেন।
জ্যাকলিনকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রশংসার বন্যা। অথচ এরই মাঝে আদালতের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, সুকেশ চন্দ্রশেখরকে না চেনার দাবি ছিল অসত্য। পরে তথ্যপ্রমাণের চাপে পড়ে তিনি সম্পর্কের বিষয় স্বীকার করেন।
বিচারপতি অনীশ দয়ালের বর্ণনা, আবেদনকারী প্রথমে দাবি করেছিলেন তিনি সুকেশকে চেনেন না। পরে তথ্যপ্রমাণের চাপে পড়ে তিনি তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। একইভাবে তিনি উপহার পাওয়ার কথাও এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
অন্যদিকে, ইডি’র দাবি, তদন্তে সহায়তার বদলে জ্যাকলিন তথ্য গোপন করেছেন, এমনকি নিজের মোবাইল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় নিয়েই তার আবেদন খারিজ করা হয়।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। বিলাসবহুল উপহার, দামি গাড়ি, গয়না—সুকেশের কাছ থেকে পাওয়া এসব নিয়েও বারবার আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন জ্যাকলিন। প্রতিবারই তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। কিন্তু তদন্ত সংস্থা ইডি (প্রবেশনারি ডিরেক্টরেট)-এর অভিযোগ, তথ্য চেপে গিয়ে কিংবা মুছে দিয়ে জ্যাকলিন প্রকৃতপক্ষে মামলাকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।
একজন তারকার জন্য ভক্তদের ভালোবাসা যেমন পাওয়া যায় পর্দায় পারফর্ম করে, তেমনি বাস্তব জীবনের সিদ্ধান্তগুলোও সেই ভালোবাসার ওপর প্রভাব ফেলে। জ্যাকলিনের ক্ষেত্রে এই দ্বন্দ্বটি যেন এখন আরও প্রকট। কিছুদিন আগেই খবর বেরিয়েছিল, তিনি সবকিছু ছেড়ে আধ্যাত্মিক চর্চায় মন দিয়েছেন। কিন্তু এই আইনি টানাপড়েন বারবার তাকে টেনে আনছে বিতর্কের কেন্দ্রে।
‘জ্যাকুলিন-সুকেশ’ অধ্যায় এখন কেবল আদালতের নয়, জনমনে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সামনে আরও কী অপেক্ষা করছে—অভিনেত্রীর পক্ষে মুক্তি, না কি আরও গভীর সঙ্কট—তা সময়ই বলে দেবে।