এ বছরটা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর জীবনে যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই তারকা শুধু পেশাগত সাফল্যের গণ্ডি পেরিয়ে এবার ব্যক্তিগত জীবনেও পেয়েছেন সুখের নতুন ঠিকানা— বিয়ে করেছেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা আদনান আল রাজীবকে। বিয়ের পর একসঙ্গে সময় কাটাতে পাড়ি জমিয়েছেন ইউরোপে।
মিলান শহরের ট্রামলাইন ধরে হেঁটে বেড়ানো, রোদেলা দিনের স্নিগ্ধতায় লাল-কমলা রঙের সাজ, চোখে সানগ্লাস, কানে ঝুমকা—সব মিলিয়ে যেন ফ্যাশন আর প্রেম একসঙ্গে ধরা দিয়েছে তার ইনস্টাগ্রামে। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘Outfit: 10/10, Plans: None’—যেন কাজের ব্যস্ততা পেছনে ফেলে একান্তে নিজেদের সময় কাটানোর মুহূর্ত।
পোশাকে ব্যক্তিত্ব
ছবিতে মেহজাবীনের পোশাকে ছিল একটি ভিব্রেন্ট ট্যাঙ্গো রেড রঙের প্লিটেড অফ-শোল্ডার ড্রেস। ফ্লোয়ি টেক্সচারের এই পোশাক তার ব্যক্তিত্বে এনে দিয়েছে সতেজতা, চঞ্চলতা আর আত্মবিশ্বাসের অনুরণন। পোশাকটি খুবই মিনিমালিস্ট হলেও রঙ এবং কাটিংয়ে রয়েছে সাহসী ও গ্ল্যামারাস এক্সপ্রেশন। গরমের ইউরোপে ঘোরার জন্য আদর্শ—আরামদায়ক ও দৃষ্টিনন্দন।
এক্সেসরিজ
চোখে গোল ফ্রেমের স্টেটমেন্ট সানগ্লাস আর কানে ঝুলন্ত গ্লিটারি কানের দুল—এই দুটি অনুষঙ্গই তার চেহারায় এনেছে একধরনের ক্লাসিক ইউরোপিয়ান হালকা গ্রেস। ব্যাগ হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্ট্রাকচার্ড হ্যান্ডব্যাগ, যা পুরো লুকের পরিপূর্ণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
মেকআপ ও হেয়ার
মেহজাবীনের মেকআপ ছিল নিখুঁতভাবে মিনিমাল। হালকা ব্রোঞ্জি ফিনিশ, কোমল গালবরণ, নিউড লিপশেড—সব মিলিয়ে গ্রীষ্মের আলোয় ঝলমলে ত্বককে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। চুল ছিল সোজা করে পেছনে বাঁধা—স্মার্ট, সফিস্টিকেটেড এবং সিম্পল।
লোকেশন আর ক্যারিজ
মিলানের ব্যস্ত শহর, ট্রামলাইন ঘেরা রাস্তা, ঐতিহাসিক ভবনের ছায়ায় দাঁড়িয়ে মেহজাবীনের স্টাইল যেন হয়ে উঠেছে এক চলমান ক্যাটওয়াক। তার ক্যারিজে ছিল আত্মবিশ্বাস, ছিল স্বাধীনতা—একজন অভিনেত্রী হিসেবে নয়, একজন নারীর মতো যিনি জীবন ও ভালোবাসা উপভোগ করতে জানেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া
ছবিগুলো প্রকাশের পর পরই ভক্তদের মধ্যে শুরু হয় উচ্ছ্বাস। কেউ বলেছেন, ‘স্টাইল আইকন বললেও কম বলা হয়’, কেউবা মন্তব্য করেছেন, ‘সৌন্দর্য আর ক্লাসের এক অনন্য উদাহরণ।’ মাত্র ৬ ঘণ্টায় ছবিগুলিতে লাইক পড়েছে ১৫ হাজারের বেশি, আর কমেন্টসের বন্যা যেন প্রমাণ করে দিয়েছে, মেহজাবীন শুধু অভিনেত্রীই নন, ফ্যাশন ও জীবনশৈলীর এক অবিসংবাদিত মুখ।
মেহজাবীনের প্রতিটি ছবি যেন শুধুই ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নয়, বরং জীবনের নতুন রঙে রাঙানোর গল্প। নতুন জীবনের শুরুতে এমন সফর যে শুধু চোখে না, মনেও থেকে যাবে—তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভক্তরা মন্তব্য করছেন, ‘আপনাদের দেখে মনে হচ্ছে প্রেম এখনো সিনেমার মতোই সুন্দর!’—ঠিক তাই তো, বিয়ের পর ভালোবাসা যদি এভাবেই প্রকাশ পায়, তাহলে সেটি শুধুই ভালোবাসা নয়, বরং জীবনের এক শিল্প হয়ে ওঠে।