আপনি কি কখনো ভালোবেসে কেঁদেছেন?
তাহলে নিশ্চিতভাবে জীবনের কোনো এক সন্ধ্যায় আপনার কানে বাজেছে অরিজিৎ সিং-এর কোনো গান। অরিজিৎ—এই নামটাই যেন সুর, আবেগ আর নিঃশব্দ ভালোবাসার প্রতীক।
‘তুম হি হো’, ‘কেসারিয়া’ কিংবা ‘এই দিল হ্যায় মুশকিল’— প্রতিটি গানে অরিজিৎ যেন আমাদের হৃদয়ের গোপন অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে দেন। প্রেমের যে ভাষা আমাদের মুখে আসে না, তা যেন তার কণ্ঠেই রূপ পায়।
বিশ্বজুড়ে খ্যাতি, তবু পায়ের নিচে মাটি _
স্পটিফাইয়ের মতো প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ারের গায়ক এখন অরিজিৎ সিং। আন্তর্জাতিক তারকাদের পাশ কাটিয়ে তিনি শীর্ষস্থানে। অথচ, কোথাও কোনো অহংকার নেই, নেই কোনো কন্ট্রোভার্সি। শুধু সুর, শ্রোতা আর একাগ্রতা।
মুম্বাই নয়, বেছে নিয়েছেন জিয়াগঞ্জ _
তারকাদের জন্য যেখানে মুম্বাই মানেই স্বপ্নের শহর, অরিজিৎ সেই ঝলমলে দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে বেছে নিয়েছেন নিজের ছোট্ট শহর জিয়াগঞ্জ। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে, সাধারণ মানুষের মতো করে কাটে তাঁর দিন। পাড়ার ছোট্ট রাস্তায় দেখা যায় তাঁকে স্কুটিতে ঘুরতে, বাজার করতে, এমনকি কখনো কখনো ছোটখাটো গানের স্কুলেও পড়াতে।
দুই ঘণ্টার শোয়ে ১৪ কোটি টাকা! _
অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে—মাত্র দুই ঘণ্টার একটি লাইভ শোয়ের জন্য অরিজিৎ পারিশ্রমিক নেন প্রায় ১৪ কোটি টাকা। ভারতের সবচেয়ে দামি শিল্পীদের তালিকায় তিনি এখন শীর্ষে। তবু জীবনযাত্রায় নেই সেই বিলাসিতা।
কোটি টাকার ফ্ল্যাট, কিন্তু হৃদয়ে সরলতা _
হ্যাঁ, তার আছে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, দামি গাড়িও। কিন্তু রাস্তায় তাকে স্কুটিতে ঘুরতে দেখলে বোঝা যায়—এই মানুষটা আসলে বিলাসের নয়, ভালোবাসার জন্য বাঁচেন।
শ্রোতার চোখে জল, অরিজিৎ-এর কণ্ঠে ভালোবাসা _
তার কনসার্টে থাকা হাজারো মানুষের চোখে জল, কণ্ঠে কাঁপুনি, আর হৃদয়ে প্রশান্তি—এই তো অরিজিৎ। তিনি কেবল গায়ক নন, আমাদের আবেগ, আমাদের ভালোবাসা।
তিনি এমন একজন শিল্পী, যিনি গানে শুধু সুর দেন না, বলেন জীবনের গল্প। তার গানে ফুটে আমাদের আবেগ ভালোবাসা আর জীবনের গল্প।