ওপার বাংলার খ্যাতিমান নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির জীবন যেন বহুদিন ধরেই ক্যামেরার পেছন থেকে ক্যামেরার সামনে চলে এসেছে। সিনেমার ফ্রেমের বাইরেও তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলে নেটিজেনদের চর্চা। কিছুদিন আগেই একটি ভাইরাল ছবিকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনায় উঠে এলেন তিনি— সঙ্গে এক নবাগত অভিনেত্রী, সুস্মিতা চ্যাটার্জি।
ঘটনা পুরীর সমুদ্রসৈকতে। ক্যামেরাবন্দি এক ‘সেলফি’। আর তাতেই তৈরি হয়ে যায় এক রকম সামাজিক মিডিয়া ঝড়। ছবির ক্যাপশন ছিল “স্যার চোখের মধ্যে।”— এই কটি শব্দেই জন্ম নেয় অসংখ্য প্রশ্ন। কে এই তরুণী? ‘স্যার’-এর চোখে কী দেখলেন তিনি? প্রেম নাকি প্রশিক্ষণ? শিক্ষক-ছাত্রীর স্নেহ নাকি সম্পর্কের নতুন সূত্রপাত?
যদিও ছবিটি পোস্ট করেছেন সুস্মিতা নিজেই, তবু তার ভাষায়— “সৃজিতকে আমি ‘স্যার’ বলেই জানি। তিনি আমার শিক্ষক। অভিনয়ের বিভিন্ন দিক, ক্যামেরার ভাষা— সবকিছু খুব ধৈর্য নিয়ে শেখান।” তবুও অনেকে ছবির ভঙ্গিমা আর ক্যাপশন দেখে প্রেমের আভাস খোঁজার চেষ্টা করেন। এমনকি কেউ কেউ হিসেব মেলাতে শুরু করেন সৃজিত-মিথিলার সংসারের টানাপড়েনের সঙ্গেও।
সত্যি বলতে, এটুকুই কি যথেষ্ট নয়? এক পুরুষ পরিচালক ও এক নারী অভিনেত্রীর একান্ত সময় কাটানোর খবরেই এখন নানা গল্পের জন্ম হয়। সৃজিতের কথায়, “একটা সেলফি নিয়ে এত হইচই! আমরা তো ২০২৫ সালে বাস করছি! রিল্যাক্স গাইজ, রিল্যাক্স!”
এই ঘটনায় আবারও স্পষ্ট হলো— নেট দুনিয়া কল্পনার দোলনায় চড়তে ভালোবাসে। একটুখানি ঘনিষ্ঠতা, একটু হাসিমাখা মুহূর্ত কিংবা দৃষ্টির ভঙ্গিই হয়ে ওঠে বিশ্লেষণের বিষয়। অথচ যাদের নিয়ে এই আলোচনা, তাদের বক্তব্য একরকমই— “আমরা বন্ধু। এর বেশি কিছু নয়।”
সুস্মিতা বলেন, “আমরা ভালো বন্ধু, কাজ নিয়ে কথা হয়, শিখি। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। যে যা ভাবছে ভাবুক, আমি বেশি কিছু বলব না।”
সৃজিত মুখার্জির ক্যারিয়ার যেমনই হোক, তিনি নতুনদের জন্য বরাবরই ছিলেন গাইডের মতো। সুস্মিতার ক্ষেত্রেও হয়তো তাই। ‘ডিয়ার মা’ ছবির প্রিমিয়ারে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেলেও, তাতে সম্পর্কের সংজ্ঞা বদলায় না। বরং এটা হয়তো দুই শিল্পীর মধ্যে বোঝাপড়ার এক নিদর্শন মাত্র।