২১ জুলাইয়ের দুপুর ঢাকার আকাশে ভেসে বেড়ানো ছিল এক প্রশিক্ষণ বিমান। কেউ জানত না এই উড়ন্ত যন্ত্রটি কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ভয়াবহ এক ট্র্যাজেডির জন্ম দেবে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে আছড়ে পড়া সেই বিমানের ধ্বংসযজ্ঞে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। এমন এক ভয়াবহ দিনের সন্ধ্যায়, গোটা দেশ যখন স্তব্ধ, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একখণ্ড সহানুভূতির আলো ছড়াল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খান-এর পক্ষ থেকে।
রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় আহত শিশুদের রক্তের প্রয়োজনের কথা জানিয়ে শাকিব খানের প্রেম ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। স্ট্যাটাসটি ছিল সরল, সংবেদনশীল এবং দায়িত্বশীল। তিনি লেখেন, “রাজধানীর উত্তরায় আজকের হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের পাশাপাশি শতাধিক শিক্ষার্থী মর্মান্তিকভাবে আহত হয়েছে। তারা অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানী বিভিন্ন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে!
এই মুহূর্তে তাদের রক্তের প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের, তারা নিচের হাসপাতালগুলোতে দ্রুত চলে আসুন। আপনার একটু সহানুভূতি পেলে রক্ষা পেতে তাদের জীবন!”

শুধু পর্দার নায়ক নয়, শাকিব খান হয়ে ওঠেন বাস্তবেরও একজন ‘নায়ক’— সমবেদনা, দায়িত্ব এবং সচেতনতার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি
পোস্টে উল্লেখ করা হয় কয়েকটি জরুরি হাসপাতালের নাম, যেখানে রক্তদানকারীদের উপস্থিতির আহ্বান জানানো হয়-
ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিট,
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল,
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ,
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল,
উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ,
মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ।
এছাড়াও জাতীয় জরুরি নাম্বার ৯৯৯-এ যোগাযোগ করে পুলিশি সহায়তায় রেফারেল নেওয়ার কথাও বলা হয়।
এমন বিপদের সময় তারকারা যখন এগিয়ে আসেন, সেটা শুধু একটি বার্তা নয়—সেটা হয়ে ওঠে সমাজকে জাগিয়ে তোলার শক্তি। শাকিব খানের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এই আহ্বান সেই প্রমাণই দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। বহু মানুষ কমেন্টে নিজেদের রক্তদানের আগ্রহ জানান।
শুধু পর্দার নায়ক নয়, শাকিব খান হয়ে ওঠেন বাস্তবেরও একজন ‘নায়ক’— সমবেদনা, দায়িত্ব এবং সচেতনতার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
স্ট্যাটাসের শেষ অংশে শাকিব খানের পেজ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়। বলা হয়, “এই দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। শোক সন্তপ্ত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানাই। যারা আহত হয়েছে, আল্লাহ তাদের সুস্থতা দান করুন। এমন ভয়ানক ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, এই কামনা করি, আমিন।”