দুদিন আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে। হঠাৎ করেই বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে পরিবার দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুরুতে অনেকেই ধারণা করেছিলেন হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে, তবে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন এটি ছিল একটি ভয়াবহ প্যানিক অ্যাটাক। হাসপাতালে দুই রাত থাকার পর এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি। কিন্তু সেই রাতগুলোর অভিজ্ঞতা ছিল বিভীষিকাময়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে পরীমনি লেখেন, ‘তিনটা রাত… আমি জানি কিভাবে পার করেছি। বুক ফেটে কান্না আসছে কিন্তু সেটা বাইরে আনতে পারিনি। প্যানিক অ্যাটাক যে এতটা ভয়ানক হতে পারে, তা আমি নিজের শরীরে বুঝেছি।’
তিনি জানান, ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের মৃত্যু তাঁর উপর মানসিকভাবে গভীর প্রভাব ফেলে।
‘ওই নিউজটা আমি যেদিন দেখি, সেদিন থেকেই কেমন যেন গলা শুকিয়ে আসছিল। চোখ বন্ধ করলেই দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা… ওদের মা কাঁদছে… আমি নিজেও তো দুই সন্তানের মা। আমি অসুস্থ হলে ওদের কে দেখবে? এই চিন্তাগুলো মাথায় ঘুরপাক খেতে খেতে এক সময় আমার শরীর জবাব দেয়।’
চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সরা আমাকে খুব ভালোভাবে সামলে নিয়েছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

সেই রাতগুলোর অভিজ্ঞতা ছিল বিভীষিকাময় …
পরীমনির এই শারীরিক অবস্থা দেখে ভক্তরাও উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ, কয়েক দিনের বিশ্রাম শেষে তিনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।
এদিকে প্যানিক অ্যাটাক নিয়ে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি- ‘প্যানিক অ্যাটাক কোনো তুচ্ছ বিষয় নয়। এটা ভয়ংকর হতে পারে, জীবন কেড়ে নিতেও পারে। মানসিক চাপকে অবহেলা করবেন না।’