ভারতের দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার, কোটি ভক্তের আইডল, অভিনেতা থালাপতি বিজয় এবার আলোচনায় ভিন্ন কারণে। সিনেমার পর্দা থেকে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে— আর সেখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা দিলেন এক নতুন রাজনৈতিক যুদ্ধের।
থালাপতি বিজয় তামিল সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন। তার ছবিগুলো শুধু দক্ষিণ ভারতে নয়, পুরো দেশজুড়ে এবং প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যেও দারুণ জনপ্রিয়। ভক্তরা তাকে শুধু একজন নায়ক হিসেবে নয়, বরং সামাজিক বার্তা দেওয়া তারকাও মনে করে।
বহু বছর ধরেই তিনি সমাজসেবায় যুক্ত— শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ত্রাণ কার্যক্রমে কাজ করেছেন নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে।
দীর্ঘদিন ধরেই বিজয়ের রাজনীতিতে আসা নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। অবশেষে ২০২৫ সালে তিনি নিজের রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগম (TVK)’ ঘোষণা করেন।
আগস্টে মাদুরাইয়ের বিশাল সমাবেশে জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে তার দল কোনো জোট ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

ভারতের দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার থালাপতি বিজয়
এদিকে, বিজয় বিজেপিকে সরাসরি ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘বিজেপি ও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এটা কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং আদর্শগত যুদ্ধ।’ তার অভিযোগ— ধর্মকে বিভাজনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, আর গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। তার ভাষায়, ‘রাজনৈতিক শত্রু আমাদের রাজ্যের ডিএমকে, কিন্তু আদর্শগত শত্রু হলো বিজেপি।’
তিনি প্রতীকীভাবে বলেন— ‘সিংহ একবার গর্জন করলেই, তার কম্পন আট কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়’— যা তার দলের শক্তি ও দৃঢ় অবস্থানকে বোঝায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজয়ের প্রবেশ তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। ডিএমকে ও এআইএডিএমকের বাইরে তৃতীয় শক্তি হিসেবে যুব সমাজ ও সংখ্যালঘু ভোট টানতে পারেন তিনি। ইতোমধ্যেই তার সমাবেশে বিপুল জনসমাগম ও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
সিনেমার পর্দায় নায়ক থালাপতি বিজয়, এবার বাস্তব রাজনীতিতেও নায়ক হতে পারবে কি? প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপির বিরুদ্ধে আদর্শগত এই যুদ্ধে কতটা সফল হবেন তিনি—সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।