পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল জুবাব রানা আবারও আলোচনায়— তবে এবার কোনো নতুন নাটক বা চরিত্রের জন্য নয়, বরং তার ফ্যাশন স্টাইল নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়।
জুবাব রানা বহু বছর ধরে টেলিভিশনে কাজ করছেন। তিনি যেমন ইতিবাচক চরিত্রে প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনি নেতিবাচক ভূমিকায়ও দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি জুবাব নিজের বাস্তব জীবনের ঝলক প্রায়ই তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
অভিনয়ের মতোই ফ্যাশন নিয়েও তিনি সবসময় এক্সপেরিমেন্টাল। কখনও শাড়ি, কখনও ওয়েস্টার্ন পোশাকে তিনি নিজেকে প্রকাশ করেন ভিন্ন আঙ্গিকে। সম্প্রতি তিনি এক অনুষ্ঠানে আবায়া পরে হাজির হয়েছিলেন, কিন্তু সেই আবায়াটি পুরোপুরি বাটন করা ছিল না। নিচে তিনি পরেছিলেন জিন্স ও টপ— এই আধুনিক ও ফিউশনধর্মী সাজই তার ভক্তদের একাংশকে ক্ষুব্ধ করেছে।
ছবিগুলো প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। কেউ লিখেছেন, ‘আপনার আবায়ারও আরেকটা আবায়া দরকার!’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আবায়া মানে শরীর ঢেকে রাখা, এইভাবে নয়!’ আরও একজন সরাসরি বলেছেন, ‘আবায়াকে অপমান করার জন্য আপনার লজ্জা করা উচিত।’ এই মন্তব্যগুলো ছড়িয়ে পড়তেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়, এবং একদল নেটিজেন জুবাবের স্টাইল নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
পাকিস্তানের বিনোদন অঙ্গনে অভিনেত্রীদের পোশাক ও স্টাইল নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। একদিকে তারকারা নিজেদের মতো করে আত্মপ্রকাশে বিশ্বাসী, অন্যদিকে দর্শকরা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তা মূল্যায়ন করেন। জুবাব রানার ক্ষেত্রেও সেই পুরনো দ্বন্দ্বই যেন নতুন রূপে ফিরে এসেছে।
অনেকে বলছেন, ফ্যাশন তো ব্যক্তিগত বিষয়— কেউ কীভাবে পোশাক পরবেন, সেটি তার স্বাধীনতা। আবার কেউ বলছেন, আবায়া যেহেতু ধর্মীয় প্রতীকের সঙ্গে যুক্ত, তাই সেটির প্রতি সম্মান দেখানো জরুরি। এই দুই অবস্থানের টানাপোড়েনেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জুবাব রানা।
তবে সমালোচনা সত্ত্বেও তিনি এখনো নিজের অবস্থান নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। বরং তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল আগের মতোই রঙিন, নতুন ফটোশুট ও স্টাইল এক্সপেরিমেন্টে ভরপুর।