সিনেমায় থাই ফুটবলারদের উদ্ধার অভিযান
১১ জুলাই ২০১৮ ১৪:১১
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।
প্রায় আঠার দিন গুহায় আটকে ছিলো থাইল্যান্ডের বারো কিশোর ও তাদের ফুটবল কোচ। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের মাধ্যমে বন্দি অবস্থা থেকে তারা জীবিত ফিরলেও মারা পড়েছেন একজন উদ্ধারকর্মী। আর এই উদ্ধার অভিযানকে ঘিরে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা আর রাজনীতি। সারা বিশ্বের শত কোটি মানুষের দৃষ্টি ছিল এই অভিযানের দিকে। মানুষের দমবন্ধকর অপেক্ষা, বৈরি আবহাওয়া আর বিপদের আশংকা- সবকিছু সাথে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর এক অভিযান। অবশেষে উদ্ধার গুহায় আটকা পড়া সব কিশোর। এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। আর সেজন্যই সিনেমার গল্পের চেয়েও গায়ে কাঁটা দেয়া এই উদ্ধার অভিযান নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবি।
আন্তর্জাতিক গসিপ ম্যাগাজিন ভ্যারাইটি জানাচ্ছে, পিউর ফ্লিক্স এন্টারটেইনমেন্ট নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থাই বালকদের আটকে পড়ার ঘটনা নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এজন্য তারা থাই কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতির জন্য আবেদনও করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও ম্যাট স্কট নিজে উপস্থিত ছিলেন উদ্ধার অভিযানে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি হলিউড রিপোর্টারকে বলেছেন, ‘যে সাহস ও নায়কোচিত উদ্ধার অভিযান আমি স্বচক্ষে দেখেছি তা নিয়ে সিনেমা হওয়া উচিত। এটি করতে পারলে আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
এদিকে মঙ্গলবার ডিসকভারি চ্যানেল এই ঘটনার উপর একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। যেটি প্রচারিত হবে আসছে শুক্রবার।
ওয়াইল্ড বোয়ার্স ফুটবল দলের এগারো সদস্যকে নিয়ে গত ২৩ জুন ‘থাম লুয়াং নাং নন’ গুহা ভ্রমণে গিয়েছিলেন তাদের পঁচিশ বছর বয়সী কোচ। পরে বন্যার পানি বেড়ে গেলে তারা গুহার ভেতর আটকে পরে যায়। জুনের পঁচিশ তারিখে অবস্থান সনাক্ত হলেও জুলাইয়ের তিন তারিখে তাদের কাছে খাবার এবং ঔষধ পৌঁছে দেয়া হয়। তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে অক্সিজেন স্বল্পতায় মারা পড়েন সামান গুনান নামের থাই নেভি সিলের এক সদস্য।
স্কট জানাচ্ছেন, এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ৯০ জন ডুবুরী ও আটকে পড়া কিশোরদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। এই ঘটনাকে দলবদ্ধ প্রচেষ্টার সুন্দর উদাহরণ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন এই প্রযোজক।
খ্রিস্টান ধর্ম ভিত্তিক সামাজিক সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রসিদ্ধ পিউর ফ্লিক্স ফিল্ম। থাইল্যান্ডের এই ঘটনা থেকে সিনেমা বানানোর সময়ও তারা ধর্মকে বেশ গুরত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে সিনেমায়। তাদের সঙ্গে সহ প্রযোজক হিসেবে থাকছেন ‘গড’স নট ডেড’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম