নিউইয়র্কের কুইন্স সিটি ক্লার্ক অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে হাসিমাখা দুই মানুষ। হাতের আঙুলে ঝলমলে আংটি, চোখে স্বপ্নমাখা আলো, আর ক্যাপশনে লেখা— ‘ইয়েস, ইটস নাও অফিশিয়াল; আলো এবং ছায়ার সঙ্গে জীবন যাপনের প্রতিশ্রুতি… চলো শুরু করি প্রিয় মুশফিকা মাসুদ।’ এভাবেই নিজের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘোষণা করলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
তৃতীয়বার হলেও একেবারে প্রথম-দিনের মতো অনুভব
বাংলা চলচ্চিত্রের এই সৃজনশীল নির্মাতা বরাবরই নিজের কাজের মাধ্যমে মানুষের গল্প বলেন। কিন্তু এবার তিনি নিজেই রচনা করেছেন সবচেয়ে ব্যক্তিগত একটি গল্প—নতুন দাম্পত্যের গল্প। মুশফিকা মাসুদের সঙ্গে তার এই বিয়ের খবরে সোশ্যাল মিডিয়া মুহূর্তেই ভরে যায় শুভেচ্ছায় আর ভালোবাসার বার্তায়।
যেন নতুন করে সাজানো জীবনের সেট— এক পাশে আলো, অন্য পাশে ছায়া, আর তার মাঝখানে দুজনের হাত রেখে চলা যাত্রা।
মুশফিকা: স্ক্রিপ্ট থেকে জীবনের বাস্তবতায়
অমিতাভ রেজার নতুন জীবনসঙ্গী মুশফিকা মাসুদ পেশায় একজন চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। যুক্তরাজ্যে আইন পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে সিনেমার জগতে নিজের পরিচয় গড়ে তোলা— মুশফিকার পথ মোটেও সহজ ছিল না।
নিউইয়র্কের ফেয়ারস্টেইন গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব সিনেমা ও ব্রুকলিন কলেজের ছাত্রজীবন তাকে আরও গভীরভাবে যুক্ত করে চলচ্চিত্র ভাষার সঙ্গে। তার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য অ্যানিভার্সারি’ ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক উৎসবে পুরস্কার জিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এ যেন দুই শিল্পী— দুজনার স্বপ্নময় ক্যামেরা— এক ফ্রেমে এসে মিলে যাওয়া।
এক মাস আগেই শুরু হয়েছিল জল্পনা
গত মাসে ফেসবুকে দুজনের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন অমিতাভ রেজা। তখন থেকেই শুরু হয় আলোচনা— তারা কি শুধু সহকর্মী, নাকি কিছু বেশি? আজ জানা গেল, সেই ছবির হাসির আড়ালেই ছিল এক নতুন সম্পর্কের শুরুর গল্প।
জীবনের নতুন অধ্যায়— নিউইয়র্কে
গত কিছুদিন ধরে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন অমিতাভ রেজা। কাজের ব্যস্ততা, আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট— সবকিছুর মধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনি।
কুইন্স সিটির ছোট্ট এক অফিসরুমে, সাধারণ পর্দার মতোই অপ্রদর্শনী এক পরিসরে— তবু ভরা আন্তরিকতায়, বড় পর্দার নির্মাতা নিজের জীবনের অফস্ক্রিন গল্পটিকে ‘অফিশিয়াল’ করে তুললেন।
দুজনার যাত্রা এখন শুরু
জীবনের দুয়ারে দাঁড়িয়ে দুই শিল্পীর নতুন পথচলা শুরু হলো হাত ধরে— আলো-ছায়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে, সিনেমার ভাষা আর বাস্তব জীবনের রঙ মিলিয়ে, নতুন সুখের দৃশ্যপট আঁকার প্রত্যাশায়।