হলিউডের নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মধ্যে যাদের দিকে দুনিয়ার নজর এখন সবচেয়ে বেশি—স্যাডি সিঙ্ক নিঃসন্দেহে তাদের একজন। থিয়েটারের আলোছায়া থেকে উঠে আসা এই তারকা স্ট্রেঞ্জার থিংস-এর ম্যাক্স মেইফিল্ড হয়ে যখন ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নিলেন, তখনই ইঙ্গিত মিলেছিল—এ মেয়ে আরও দূর যাবে। আর এখন সেই পথ আরও বড়, আরও ঝলমলে।
কারণ, স্যাডি সিঙ্ক যোগ দিচ্ছেন মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের নতুন অ্যাভেঞ্জার্স ছবিতে— ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’!
মঞ্চ থেকে মার্ভেল— এক উজ্জ্বল যাত্রা
স্যাডি সিঙ্কের অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু থিয়েটারে। সাদামাটা জীবন, প্রতিদিনের রিহার্সাল, আর চরিত্রে ডুবে থাকার শিল্পই ছিল তার শক্তি। পরে Stranger Things তাকে পরিচিতি দেয় বৈশ্বিক দর্শকের কাছে। ম্যাক্সের চরিত্রে তার সংবেদনশীল অভিনয়, দুর্দান্ত স্ক্রিন প্রেজেন্স আর আবেগের প্রকাশ তাকে মিলিয়ন-ডলারের ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য প্রস্তুত করে দেয়।
এখন তিনি যখন ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এ যোগ দিচ্ছেন, তখন সেটি যেন তার সক্ষমতার স্বীকৃতি।
নতুন অ্যাভেঞ্জার্স দলে স্যাডি— কী চরিত্রে দেখা যাবে?
মার্ভেলের নয়া ছবিতে তিনি কোন চরিত্রে থাকছেন?—এ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
ডেডলাইনের সূত্র বলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে লন্ডনে শুটিং শুরু হবে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’-এর, আর সেখানেই দেখা যাবে স্যাডিকে।
ভক্তরা আগ্রহে অপেক্ষা করছেন—তিনি কি নতুন কোনো সুপারহিরো? নাকি পরিচিত কমিক চরিত্রের আধুনিক রূপ?
মার্ভেল অবশ্য রহস্য ফাঁস করছে না। আর রহস্যই তো তারকা-তৈরি ছবির মূল আকর্ষণ।
স্পাইডার-ম্যানেও চমক
অ্যাভেঞ্জার্সের পাশাপাশি স্যাডির আরও বড় চমক আছে। তিনি অভিনয় করেছেন ‘স্পাইডার-ম্যান: ব্র্যান্ড নিউ ডে’ ছবিতে। এটি মুক্তি পাবে আগামী ৩১ জুলাই। চরিত্রটি কী— এ উপলক্ষে তৈরি হয়েছে রহস্যের আরও এক বৃত্ত।
তবে মার্ভেলজুড়ে যে একটা নতুন ন্যারেটিভ তৈরি হচ্ছে, তাতে স্যাডির উপস্থিতি ভবিষ্যতের MCU-কাহিনীকে অন্য মোড় দিতে পারে বলেই চলেছে আলোচনা।
স্টাইলে দাপট—স্যাডির ব্যক্তিত্বই তার শক্তি
স্যাডি সিঙ্ক শুধু অভিনয়েই নয়, বরং তার স্টাইল, ফ্যাশন সেন্স, পরিপক্ব ব্যক্তিত্ব—সব মিলিয়ে হলিউডে ‘স্টাইলিশ আইকন’-এর তালিকায় জায়গা করেছেন। রেড কার্পেটে তার চলন-বলন কিংবা সাধারণ মুহূর্তের ন্যাচারাল লুক—সবকিছুর মধ্যেই আত্মবিশ্বাস ও স্বকীয়তার ছাপ স্পষ্ট। আর এসবই তাকে সুপারহিরো চরিত্রের শক্ত ও পরিমাপযোগ্য উপস্থিতির জন্য আরও কাছাকাছি নিয়ে গেছে।
ব্যস্ত বছরের প্রতিশ্রুতি
২০২৫-২৬ সাল স্যাডির জীবনের সবচেয়ে ব্যস্ত বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে।
বর্তমানে তিনি— ‘স্পাইডার-ম্যান: ব্র্যান্ড নিউ ডে’-এর শুটিং, ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ সিজন ৫-এর প্রচারণা, থিয়েটারে ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’–এর ‘জুলিয়েট’ চরিত্র— সব মিলিয়ে সময় দিচ্ছেন সমান দক্ষতায়। রোমিও চরিত্রে অভিনয় করবেন নোয়া জুপ— তরুণ প্রজন্মের আরেক জনপ্রিয় মুখ।
অ্যাভেঞ্জার্সে নতুন অধ্যায়
অ্যাভেঞ্জার্সের নতুন কিস্তিতে থাকছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়রও—যা দর্শকদের উত্তেজনা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ১৮ ডিসেম্বর। স্যাডির জন্য এটি ক্যারিয়ারের মাইলফলক। আর দর্শকদের জন্য—নতুন প্রজন্মের একজন শক্তিশালী নায়িকার আগমন।
স্যাডি সিঙ্ক–এর যোগদান হলিউডে স্টার পাওয়ারের নতুন মানদণ্ড তুলে ধরছে। বয়স মাত্র ২৩—কিন্তু দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও চরিত্রে প্রবেশের ক্ষমতা তাঁকে আরও বড় কিছু করার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
অ্যাভেঞ্জার্সের নতুন যাত্রায় স্যাডি সিঙ্কের উপস্থিতি যেন মার্ভেলের ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন সংকেত—নতুন মুখ, নতুন গল্প, নতুন নায়কের উত্থান।
আর দর্শকরা অপেক্ষায়— পরবর্তী সুপারহিরো হতে চলেছেন কে? হতে পারে—এবার সেই নামটি স্যাডি সিঙ্ক।