স্বপ্ন দেখাবে ‘সুই ধাগা’
১৪ আগস্ট ২০১৮ ১০:৪৬
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।
ভারতে তিরিশ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার বসবাস দারিদ্রসীমার নীচে। তাদের দৈনিক আয় সিঁকি ডলারেরও কম। আরও তিরিশ কোটি আছেন যারা কোনও মতে ছুঁয়ে আছেন দরিদ্রতা উৎরে যাওয়ার দাগ। ‘সুই ধাগা’ ছবিটি তাদের জন্যই নির্মাণ করেছেন শরৎ কাটারিয়া। গতকাল সিনেমাটির প্রথম ঝলক প্রকাশের পর এমনটাই দাবী করেছেন এই লেখক ও পরিচালক।
শরৎ কাটারিয়া বলছেন, ‘নিম্নবিত্তের মানুষেরা চাকুরির পেছনে না ছুটে নিজে কিছু একটা করার চেষ্টা করা উচিত। চেষ্টা করলে নিজের ভাগ্য বদল সম্ভব। তবে চেষ্টা হতে হবে নিঃশর্ত। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়ে পড়ায় পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এখানে চাইলেই নিজেকে বড় করা যায়। সুই ধাগা সিনেমার মধ্য দিয়ে ভারতের মানুষকে আমি এটাই বলতে চেয়েছি।’
আরও পড়ুন : স্পাইনাল কর্ডের সমস্যায় নওশাবা ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি
গতকাল সোমবার প্রকাশ হয়েছে ‘সুই ধাগা’ ছবির প্রথম ঝলক। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা। মূলত বরুণ ধাওয়ান ও আনুশকা শর্মার অভিনয় মুগ্ধ করেছে সবাইকে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ছবিটির বক্তব্য। ফিল্ম ক্রিটিকরা বলছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য এই ছবি হতে যাচ্ছে অনেক বড়ো প্রেরণা।
সিনেমায় বরুণ উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার যুবক। সরলতার জন্য বাইরের সবার কাছে হাসির পাত্র। এমনকি বাড়িতেও বাবার গঞ্জনা শুনতে হয় তাকে। স্বামীর অপমান সইতে না পেরে স্ত্রী আনুশকা তাকে কিছু একটা করার পরামর্শ দেয়। তখনই আসে ‘সুই ধাগা’র পরিকল্পনা। সুই ধাগার জোরেই বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখে বরুণ ও আনুশকা। চালিয়ে যায় বড় হওয়ার চেষ্টা।
এর আগে দর্শকদের ‘দম লাগা কে হেইসা’ ছবিটি উপহার দিয়েছেন শরৎ কাটারয়া। প্রযোজনায় ছিলেন মণীশ মালহোত্রা। সুই ধাগায়ও জুটি বেঁধেছেন তারা। আশা করছেন, এবার তাদেরকে আরও ভালোভাবে গ্রহণ করবে দর্শকেরা। সেজন্য অবশ্য ভালোই প্রচারণা চালাচ্ছেন দুজন। এখন অপেক্ষা ২৮ সেপ্টেম্বরের। কারণ সেদিনই জানা যাবে মণীশ ও শরতের প্রচারনায় দর্শকরা কতটা সাড়া দেন।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম