জামিন পেলেন অভিনেত্রী নওশাবা
২১ আগস্ট ২০১৮ ১৭:১৩
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে এসে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার ১৬ দিন পর তিনি জামিন পেলেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবাকে জামিন দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ২ অক্টোবর। পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত এই জামিন বহাল থাকবে।
নওশাবার পক্ষে জামিন আবেদন করেন এ এইচ ইমরুল কাওসার।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট জিগাতলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অন্যপক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে আসেন নওশাবা। ফেসবুক লাইভে তিনি জানান, জিগাতলায় চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে, একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।
নওশাবার ফেসবুক ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন জিগাতলায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ৪ আগস্ট রাতে উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাব।
আটক হওয়ার পর নওশাবা জানান, রুদ্র নামে এক পরিচিতজনের অনুরোধে তিনি ফেসবুক লাইভে আসে।
তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই ফেসবুক লাইভে আসায় অনুতাপও প্রকাশ করেন নওশাবা আহমেদ।
নওশাবা আটক করার পরদিন তাকে তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
র্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭ (২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন।
নওশাবা আদালতে নেওয়া হলে রোববার (৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হকের আদালত তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান। প্রথম দফায় রিমান্ড শেষে শুক্রবার (১০ আগস্ট) আবারও নওশাবাকে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক।
দুই দফায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন নওশাবা আহমেদ।
১৩ আগস্ট বিকেল ৩টার পর পুলিশি প্রহরায় নওশাবাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার এমআরআই করান। ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে সেই পরীক্ষা করানো হয়।
এমআরআই করানোর পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্পাইনাল কর্ডের সমস্যার কারণে ভর্তি করা হয়।
কাজী নওশাবা আহমেদ অভিনয় শিল্পী সংঘের একজন সদস্য। সংগঠন থেকেও তার মুক্তির জন্য অনুরোধ করেন তার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
তার আইনজীবীরা একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা না মঞ্জুর করে দেন।
১৯ আগস্ট সংগঠনের সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে নওশাবার মুক্তি দাবি করেন।
সারাবাংলা/এআর/পিএ