‘চরিত্র ধারণ করে রাখা একটা মানসিক চাপ’
২৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:০২
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
দেশের কিংবদন্তি অভিনয়শিল্পী দম্পতির সন্তান ইরেশ জাকের। বিদেশ ফেরত ইরেশ জাকের বাচিকশিল্পী হিসেবে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। তারপর এক সহকর্মীর কথায় চলে আসেন অভিনয় জগতে। সেই থেকে শুরু। বাবা-মায়ের পরিচয় ছাপিয়ে নিজের প্রতিভা দিয়ে আলো ছড়িয়েছেন।
গত ১৯ অক্টোবর ইরেশ জাকের অভিনীত ‘দেবী’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এতে তিনি সাইকো চরিত্রে অভিনয় করেছেন। খুব কম সময় ছিল তার পর্দায় উপস্থিতি। তবুও তিনি প্রশংসায় ভেসেছেন। কুড়িয়েছেন প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি দর্শকের হাত তালি।
এরকম সাইকো চরিত্র নিঁখুতভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা কতোটা চ্যালেঞ্জের? প্রশ্নের উত্তরে ইরেশ জাকের সারাবাংলাকে বলেন, ‘এরকম চরিত্রে অভিনয় করা বেশ চাপের। এই সিনেমায় আমি কম সময়ের জন্য হাজির হয়েছি। অল্প সময়ে দর্শকদের সেই চরিত্রে ধরে রাখা, তাদের চরিত্রটি উপলব্ধি করানো চ্যালেঞ্জের। মানুষ আসলে কম সময়ে চরিত্রটি বুঝতে পারেনা। তাদের বুঝাতে পারাটাই কঠিন কাজ। আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রটি যেন দর্শক বুঝতে পারে। উপভোগ করতে পারে।’
ইরেশ জাকের মনে করেন, প্রতিটি চরিত্রে অভিনয় করার সময় সেই চরিত্রকে নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়। সেজন্য আগে থেকেই চরিত্রটি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে হয়। তিনি বলেন, ‘নিজের ভেতর কোন চরিত্র ধারণ করা একটি মেন্টাল জার্নি। এই চরিত্রটি করার আগে আমি নিজে প্রথমে মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি। কিভাবে করলে চরিত্রটি ঠিকঠাক ফুটে উঠবে সেটি নিয়ে ভেবেছি। আমি যদি আমার চরিত্র ঠিকভাবে তুলে ধরতে না পারি তাহলে সেটা আমার ব্যর্থতা হবে।’
‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ২০১৫ সালে সেরা খলনায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। তবুও তাকে সেভাবে নিয়মিত সিনেমায় দেখা যায়না। এজন্য নিজের চাকুরির ব্যস্ততাকে দায়ী করেছেন তিনি।
এদিকে ইরেশ জাকের প্রযোজকদের সংগঠন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তারা টেলিভিশনগুলোর কাছে পাওনা টাকা আদায়ের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কাছে একশ কোটি টাকার পাওনা রয়েছে প্রযোজকদের।
পাওনা টাকা আদায়ের পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে ইরেশ বলেন, ‘মাত্রই সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালাম। আমরা তাদের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আশায় আছি। কেউ যদি আমাদের সহযোগিতা না করতে করতে চায় তাহলে হয়ত ভিন্ন কোন উপায়ে আমরা দাবি আদায়ের চেষ্টা করব।’
এখন পর্যন্ত কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়নি চ্যানেলগুলো। সেজন্য আরও সময় লাগবে বলে জানান ইরেশ জাকের। তবে তিনি মনে করেন টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের সহযোগিতা করবে।
প্রযোজকদের টাকা আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। সব কাজে কেনো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করতে হবে? প্রশ্নটি শুনে হাসেন ইরেশ জাকের। তারপর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের সব। আমরা কি কারণে তার সাহায্য চেয়েছি তা নিশ্চয়ই জানেন। আসলে মানুষ যখন কোনকিছু আপোষে বা নিজেরা সমাধান করতে পারেনা, তখন বড় মাধ্যমের সাহায্য নেয়। আমরাও তাই প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়েছি।’
ছবিঃ ইন্টারনেট
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ