বাচ্চু স্মরণে বামবা’র কনসার্ট
১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:১০
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
প্রয়াত রক কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন [বামবা] আয়োজন করেছে ‘ফেয়ারওয়েল ট্রিবিউট টু আইয়ুব বাচ্চু’। রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে হবে এই আয়োজন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
‘ফেয়ারওয়েল ট্রিবিউট টু আইয়ুব বাচ্চু’ কনসার্টে আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গানগুলো গাইবেন বামবার সদস্যরা। এছাড়াও এদিন নিজেদের গানগুলোও পারফর্ম করবে ‘বামবা’য় সদস্যভুক্ত ব্যান্ডগুলো। কনসার্ট চলবে ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
এদিকে চ্যানেল আই’র আয়োজনে গিটারের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে ‘পঞ্চম চ্যানেল আই ব্যান্ডফেস্ট ২০১৮’ শেষ হচ্ছে শনিবার। উৎসবে দেশের জনপ্রিয় ১৭টি ব্যান্ডের অংশগ্রহণ করে এবিকে স্মরণ করেছে। আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে তাজওয়ারের নেতৃত্বে এলআরবিও এদিন অংশ নিয়েছিল কনসার্টে।
এর আগে কলকাতায়ও বাচ্চুর স্মরণে ‘দুই বাংলার রকবাজি’ শিরোনামে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নভেম্বরের ২৪ তারিখের ওই আয়োজনে গান করেছেন, মাকসুদ, লিংকন ডি কষ্টা, মহিনের ঘোড়াগুলি, চন্দ্রবিন্দু’র মতো ব্যান্ড ও গায়করা।
প্রসঙ্গত ‘১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন এলআরবি ব্যান্ডের জনপ্রিয় ভোকাল আইয়ুব বাচ্চু। ৫৬ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। সংগীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন আইয়ুব বাচ্চু। তার কণ্ঠ দেওয়া প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।
এরপর ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। এই অ্যালবামটি তেমন একটা সাফল্য পায়নি। আইয়ুব বাচ্চুর সফলতা পান তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ [১৯৮৮] দিয়ে।
১৯৯১ সালে বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠন করেন। এই ব্যান্ডের সাথে তার প্রথম ব্যান্ড অ্যালবাম ‘এলআরবি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের ‘শেষ চিঠি কেন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘হকার’ গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম ‘সুখ’ এবং ‘তবুও’ বের হয়।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম