১৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘জন্মভূমি’
৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:১২
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের অভ্যন্তরীণ জীবন-সংগ্রাম ও তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকুতিকে ধারণ করে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জন্মভূমি’। ১৪ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ছোট পরিসরে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির পরিচালক প্রসূন রহমান। দীর্ঘদিনের গবেষণা শেষে এর চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : বিদ্যা হচ্ছেন শকুন্তলা দেবী
ছবিটি মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগে থেকেই এমন পরিকল্পনা ছিল ছবির প্রযোজকের। প্রথমদিকে অল্প পরিসরেই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। কতটি হলে বা কোন কোন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারিনি। ধারণা করছি রাজধানীর মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে এই ছবি দেখতে পারবেন দর্শকরা।’
এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে একটি ছোট দৈর্ঘ্যের ট্রেইলার। গতকাল (৫ ডিসেম্বর) অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে এটি। তিন মিনিটের আরও একটি ট্রেইলার তৈরি করা হয়েছে। যা শিগগিরই প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক। নভেম্বরের শেষভাগে সেন্সর পায় ‘জন্মভূমি’।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হয় তাদের মধ্যে প্রায় ৬৫ হাজার নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। যাদের অনেকেই এরই মধ্যে মা হয়েছেন। মা হবার পথে আরও অনেক নারী।
গল্পের কেন্দ্রে আছেন সোফিয়া নামের একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী, যে তার সন্তানকে এই শরণার্থী শিবিরে জন্ম দিতে চাননা। সোফিয়া চায় যে কোনও উপায়ে নিজের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে। নিজের জন্মভূমিতে ফিরে সন্তান জন্ম দিতে। শরণার্থী শিবিরের জনাকীর্ণ আশ্রয়ে নিজের সন্তানকে বড় করে তোলার মাঝে সে কোনো আনন্দ খুঁজে পায়না।
সোফিয়াদের বাড়িটা আগুনে পুড়িয়ে দেয় মায়ানমার সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে হারানোর পর প্রতিবেশীদের সাথে সেও চলে আসে বাংলাদেশে। এই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার পর তার ৮ ফিট বাই ১০ ফিট একটা ঝুপড়ি ঘর হয়েছে, কিন্তু এ ঘর তো আর নিজের ঘরের মতো নয় যে ঘরে সে বড় হয়েছে, যে ঘরে সে স্বামীর সাথে সংসার পেতেছিল।
শরণার্থী শিবিরে আসার পর একদিন সে খুঁজে পায় মানিক নামের এক যুবককে, যে ১০ বছর আগে প্রতিবেশীদের সাথে এখানে পালিয়ে এসেছিল। শরণার্থী হিসেবেই সে এখানে বড় হয়েছে। এখন সে ক্যাম্পে হারানো শিশুদের জড়ো করে তাদের পিতা-মাতাদের খুঁজে এনে দেয়। সোফিয়া মাইকের আওয়াজ শুনে খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যায় তার কাছে।
এর পরের গল্প বর্তমান সময়ের। সে গল্পে পাওয়া যায় বাস্তবের জমিন থেকে উঠে আসা ঘুর্ণায়মান আরও কিছু চরিত্র এবং চরিত্রগুলোর যার যার অবস্থান থেকে দেখা নিজস্ব বয়ান। কিন্তু সকল প্রতিকূলতা এড়িয়ে চলতে থাকে জন্মভূমি অভিমুখে সোফিয়ার অর্ন্তগত অভিযাত্রা। যে যাত্রা প্রত্যাশিত হলেও বিপদসংকুল।
চলচ্চিত্রে সোফিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগতা সায়রা আক্তার জাহান এবং মানিক চরিত্রে রওনক হাসান। তাদের সাথে রয়েছেন সঙ্গীতা চৌধুরী, জয়নাল জ্যাক, নাসির উদ্দিন, অংকন চাকমা এবং একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জার্মান অভিনেত্রী পামেলা কেচটার।
জন্মভূমির নির্বাহী প্রযোজক দেওয়ান শামসুর রাকিব এবং প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান।
সারাবাংলা/পিএ
আরও পড়ুন : তারেক মাসুদকে গুগলের সম্মাননা