Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৃহস্পতিবার শহীদ মিনারে টুটুলকে শেষ শ্রদ্ধা


১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৩৭

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

দেশের প্রখ্যাত নির্মাতা, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সাইদুল আনাম টুটুল প্রয়াত হয়েছেন ১৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার)। তাঁর প্রয়াণে শিল্পাঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাইদুল আনাম টুটুলের দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হওয়ায় তাঁর দাফনে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ইতিমধ্যে এক মেয়ে দেশে পৌঁছেছেন। অন্য মেয়ের আজ (বুধবার) দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার সাইদুল আনাম টুটুলকে সমাহিত করা হবে। তবে কোথায় দাফন হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। টুটুলের পরিবারের ইচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হোক।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন :  সুমন গাইলেন নতুন গান


এদিকে ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাইদুল আনাম টুটুলের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাখা হবে তাকে। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদে হবে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। এরপর হবে দাফন কার্য।

কোথায় দাফন হবে সেটি নিশ্চিত না হলেও আশা করা হচ্ছে পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ি তাকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানেই সমাহিত করা হবে। কারণ অসম্ভব রকমের সৃষ্টিশীল মানুষ সাইদুল আনাম টুটুল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। পুরো বিষয়টি দেখভাল করছেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মামুন। তিনি জানান, ‘সাইদুল আনাম টুটুল যে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এতে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি ৬ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। তবে সনদ তোলেননি।  এ কারণে একটু জটিলতা হচ্ছে। আশা করছি, বুধবারের মধ্যে জটিলতা কেটে যাবে।

বিজ্ঞাপন

সাইদুল আনাম টুটুল ১৯৫০ সালের পহেলা এপ্রিল পুরোনো ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকার মুসলিম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন। উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রাবস্থায় চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন টুটুল।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ৬ নম্বর সেক্টরের অধীন খুলনা অঞ্চলে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন টুটুল। কিন্তু তার মাথায় চলচ্চিত্রের নেশা। সেই নেশায় নেশায় ১৯৭৪ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে পুনে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে চলচ্চিত্র সম্পাদনা বিষয়ে পড়তে যান।

‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ ছবিটি সম্পাদনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পাওয়া টুটুল মূলত ছবিই বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খুব বেশি ছবি বানাতে পারেননি। ‘আধিয়ার’ নামে একটি ছবিই পরিচালনা করেছেন। সরকারি অনুদানে নির্মিত আধিয়ার বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার দ্বিতীয় ছবি ‘কালবেলা’র কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এই ছবিটিও সরকারি অনুদানের।

কর্মজীবনে অসংখ্য নাটক এবং টেলিভিশন বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন সাইদুল আনাম টুটুল। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আছে নাল পিরান, দায় মার সন্তানেরা, বখাটে, সেকু সেকান্দর, নিশিকাব্য, ৫২ গলির এক গলি, আপন পর, গোবর চোর, হেলিকপ্টার, মৃতের প্রত্যাবর্তন, অপরাজিতা। তাঁ সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ঘুড্ডি, দহন, দীপু নাম্বার টু, দুখাই।

 সাইদুল আনাম টুটুল নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

সারাবাংলা/পিএম


আরও পড়ুন :

সমালোচিত বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলেন তিশা

চলে গেলেন সাইদুল আনাম টুটুল

‘বাণিজ্যিক ছবির অনেক প্রস্তাব পেয়েছি’

ছবির প্রচারনায় বিয়ে বাড়িতে রণবীর!

নতুন বছরের মার্চ থেকে ‘মিশন এক্সট্রিম’

চীনাদের আমির প্রীতি


বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর