মিড ডে’র সেরা পনের’র তালিকায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’
১১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:৪৮
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
ভারতীয় দৈনিক পত্রিকা ‘মিড ডে’। এখন শুধু মুম্বাইতে প্রকাশ হয় এই দৈনিক পত্রিকাটি। এতে সম্প্রতি ১৫টি মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার যে ছবিগুলো ২০১৯ সালে আলোচনায় থাকবে সেই ছবিগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়েছে সেই তালিকায়। আর সেখানেই জায়গা দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশের ছবি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। ছবিটির পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন।
১৫টি ছবির এই তালিকাটি প্রস্তুত করেছেন সাংবাদিক মিনাকসি শেদ্দে। সাংবাদিকতা ছাড়াও তার আছে আরও অনেক পরিচয়। তাকে বলা হয় দক্ষিণ এশিয়ার স্বাধীন চলচ্চিত্রের অভিভাবক। বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড, ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবের দক্ষিণ এশিয়ার পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন মিনাকসি। তার করা ১৫টি ছবির তালিকাটি তাই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
বাংলাদেশের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ছাড়া বাকি ১৪টি সিনেমা হলো জোয়া আখতার পরিচালিত রণবীর-আলিয়া অভিনীত ‘গলি বয়’, অভিষেক চুবেয় পরিচালিত ‘সঞ্চিরিয়া’, অমিতাভ চ্যাটার্জির ‘আমি ও মনোহর’, তামিল ছবি ‘পেট্টা’, তামিল ইন্ডাস্ট্রির আরেকটি ছবি ‘সুপার ডিলাক্স’, নওয়াজ উদ্দিনি সিদ্দিকি অভিনীত ‘ফটোগ্রাফ’, কলকাতার কৌশিক গাঙ্গুলি পরিচালিত ‘নগরকির্তন’, মারাঠি ছবি ‘বিবেক’, আসামের রিমা দাস পরিচালিত ‘বুলবুল ক্যান সিং’, ভুটানের ছবি ‘দ্য রেড ফালুস’, সঞ্জয় নাগ পরিচালিত ‘ইওরস ট্রুলি’, হিন্দি ভাষার ছবি ‘নাজারবান্ধ’, উর্দু ভাষার ছবি ‘হামিদ’ এবং মালায়লাম সিনেমা ‘মোথন’।
তালিকার ১৫টি ছবির অধিকাংশই প্রদর্শিত হয়েছে নামি-দামি সব আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। অনেকগুলো ছবি আবার পেয়েছে সম্মাননাও। বাংলাদেশের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ছবির শুটিং শেষ। এখন চলছে শুটিং পরবর্তি কাজ। ছবিটি কোথাও প্রদর্শিত না হলেও, সিনেমাটির অনুদান এসেছে ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে। ছবিটির অর্থায়নে আরও রয়েছে ডেনমার্ক (ডেনিস ফিল্ম ইন্সটিটিউট) ও পর্তুগাল। নরওয়ের সরফন্ড ও ইউরোপের ইউরিমেস থেকে ফান্ড পেয়েছে ছবিটি। বাংলাদেশের খনা টকিজও আছে প্রযোজনায়। এরইমধ্যে ছবিটির চিত্রনাট্য পেয়েছে ফ্রান্সের আরতে অ্যাওয়ার্ড।
গার্মেন্টসে কাজ করা নারীদের ক্ষমতায়নের গল্প নিয়ে সিনেমার কাহিনী। এদেশে এখন অনেক নারী গার্মেন্টস শ্রমিক। তারা অধিকাংশই সংগ্রাম করে জীবনযাপন করেন। একই সঙ্গে তারা দিন দিন সাহসি হয়ে উঠেছে এগিয়ে যাবার জন্য। সিনেমায় তাদের জীবন যুদ্ধ যেমন দেখানো হয়েছে তেমনি নারীর ক্ষমতায়ন আরও বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
সারাবাংলা/পিএ