২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক ছবি মেলার দশম আসর
১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:০৮
।। এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
বসতে যাচ্ছে আন্তার্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘ছবিমেলা’র দশম আসর। দশ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শুরু হবে ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে, চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। বিশ্বের ২০ দেশের ৩৫ জন আলোকচিত্রীর তোলা ছবি প্রদর্শিত হবে এবারের মেলায়। থাকছে ২৭টি প্রদর্শনীর আয়োজন। এছাড়া রিক্সা ও ভ্যানে হবে বিশেষ প্রদর্শনী।
বরাবরের মতো দৃক পিকচার লাইব্রেরি লিমিটেড এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করছে। আজ (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর পান্থপথে দৃক গ্যালারির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উৎসবের পরিচালক আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, মানবাধীকার কর্মী খুশী কবিরসহ আরও অনেকে।
উৎসব সম্পর্কে শহিদুল আলম বলেন, ‘পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় আলোচিত্রীদের অনেকে আমাদের এই উৎসবের সঙ্গে জড়িত আছেন। আমাদের এই উৎসব অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এশিয়ার প্রধান আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে ছবিমেলা। এবার আয়োজনে আমরা আলোকচিত্রীদের বাইরেও শিল্পকলার সঙ্গে জড়িত অনেক গুণী ব্যক্তিদেরকে অন্তর্ভূক্ত করেছি। যারা পৃথিবীকে অন্যভাবে দেখেন তাদের পরামর্শ নেয়ার জন্য তাদেরকেই উপদেষ্টা পরিষদে রেখেছি।’
ছবিমেলার উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, খুশী কবির, নেপালের প্রকাশক ও লেখক কুন্ডা দীক্ষিত, ভারতীয় জনপ্রিয় আলোকচিত্রী রঘু রায়, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, সাহিত্য সমালোচক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং মানবাধীকার কর্মী সুলতানা কামাল।
অতিথির বক্তৃতায় খন্দকার ইব্রাহিম খালেন বলেন, ‘ছবি কথা বলে। যে কথাগুলো মুখের কথা দিয়ে বোঝানো যায় না সেগুলো ছবি দিয়ে বোঝানো হয়। সিরিয়াতে যখন যুদ্ধ শুরু হলো তখন অনেক অভিবাসী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিল। এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। প্রচুর নিবন্ধ লেখা হয়েছে। কিন্তু আঙ্গেলা মার্কেল ছাড়া ইউরোপিয়ানরা তাদের গ্রহণ করছিল না। সেসময় একটি ছোট বালকের মৃতদেহ সমুদ্র তীরে পড়ে ছিল। একজন ফটোগ্রাফার সেই ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করেন। ছবিটি ছাপা হয়নি এমন কোনো পত্রিকা নেই। তারপর সমগ্র ইউরোপে জাগরণ হলো। অভিবাসীদের ব্যাপারে ইউরোপীয়রা নমনীয়তা দেখাল। এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে বক্তৃতা দিয়ে যা হয় না, তা ছবি দিয়ে হয়। একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধেও এমনটা হয়েছিল। এরকম অনেক উদারণ দেয়া যায়। তাই ছবির আবশ্যকতা রয়েছে।’
অন্যদিকে ছবিমেলায় নিজেকে জড়াতে পেরে আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানান মানবাধীকার কর্মী খুশি কবির। তিনিও তার বক্তৃতায় ছবির গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
সাধারণ দর্শনার্থীরা দৃক-পাঠশালার নবনির্মিত ভবন, দৃক গ্যালারি ১ ও ২ (ধানমন্ডি), দৃক গ্যালারি ৩ (পান্থপথ) এবং অলিয়ঁস ফ্রঁসেজে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আলোকচিত্রীর তোলা ছবি দেখতে পারবেন। ছবি প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকবে নিয়মিত আলোচনাসভা ও কর্মশালা।
২০০০ সাল থেকে প্রতি দুই বছর অন্তর আয়োজিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক এ আলোকচিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে একজন দেশি এবং একজন বিদেশি আলোকচিত্রীকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হবে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি সংবাদ সম্মেলনে।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ/পিএম