পরিচালক সমিতির হেনস্তা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে: ফারুকী
২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:০৭
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
নুতন কোনো পরিচালক তার নাম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধিত করতে চাইলে পরীক্ষা ও ফি দিতে হয়। এই পরীক্ষাকে হেনস্তা এবং ফি-কে চাঁদাবাজি বলেছেন দেশের খ্যতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্বের কাছে কী প্রত্যাশা? এমন প্রশ্নের জবাবে বেশ কিছু প্রত্যাশা প্রকাশের পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘যেকেনো শিল্পে নতুন রক্ত না আসলে তা উন্নত হয় না। পরিচালনাতেও নতুনদের আসতে হবে এবং এই আগমনকে স্বাগত জানাতে হবে পরিচালক সমিতিকে। নতুনদের আসার জন্য পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। নতুন একজন পরিচালক সমিতির সদস্য হতে এলে তাকে যে পরীক্ষা এবং পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ফি দিতে হয় এটা মোটেও কাম্য নয়। এরকম অবস্থা হলে নতুনরা তো পরিচালক সমিতিতে আসবেই না। এই কথা আমি অনেক আগে থেকেই বলছি। এখনো বলছি যে পরীক্ষার নামে হেনস্তা এবং ফি-র নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।’
আজ (২৫ জানুয়ারি) পরিচালক সমিতির নির্বাচন। সেখানে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
নতুন সময়ের নতুন সিমিতি কেমন হওয়া উচিত? এ প্রসঙ্গে কথা উঠলে ফারুকী বলেন, ‘পরিচালকদের স্বার্থ রক্ষা করাই হবে পরিচালক সমিতির প্রধান কাজ। পরিচালকদের যে কোনো সমস্যায় তার পাশে দাঁড়াতে হবে। শুটিংয়ের সমস্যা, সেন্সরের সমস্যা, সব সমস্যাতের তাদের পাশে থাকতে হবে। আর যদি দাঁড়াতে না পারে তাহলে পরিচালক সমিতির দরকার কী?’
বর্তমান চলচ্চিত্র পরিবেশের কথা উল্লেখ করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ফারুকী। তিনি বলেন, ‘কে সাদা, কে কালো, কে কোন পক্ষের এসব চিন্তা না করে, সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পরিচালক সমিতিকে তাদের প্রয়োজনীয়তা এবং দায়িত্বের বিষয়টি সবাইকে বোঝাতে হবে।’
সম্প্রতি ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি সেন্সর বোর্ড কর্তৃক প্রদর্শনের অনুপযোগী বলে ঘোষিত হয়েছে। এ বিষয়ে পরিচালক সমিতি ফারুকীর পাশে আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিচালক সমিতি হয়ত আমার পাশেই আছে। কিন্তু পাশে থাকা আর শক্রিয় ভুমিকা রাখা দুই জিনিস। আমার সিনেমা একবার দেখে বলা হলো ছবিটি খুব ভালো হয়েছে। একই ছবি দ্বিতীয়বার দেখে বলা হলো এটি প্রদর্শনের অনুপযোগী। আমার বিশ্বাস পৃথিবীর অন্য কোনো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন ঘটনা ঘটলে সবচেয়ে আগে এগিয়ে আসত পরিচালক সমিতি।’
পরিচালকের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি নবীন পরিচালকদের বেশি বেশি সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ৩৬১ জন সদস্য তাদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে ভোট প্রদান করবেন। নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীরা আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থাৎ দুই বছর চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিকে নেতৃত্ব দেবেন।
নির্বাচনে ১৯ পদে লড়ছেন ৪৪ জন প্রার্থী। দুটি প্যানেল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন। একটি প্যানেল মুশফিকুর রহমান গুলজার-বদিউল আলম খোকন প্যানেল। অন্যটি বাদল খন্দকার-বজলুর রাশেদ চৌধুরী প্যানেল। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে চারজন পরিচালক নির্বাচন করছেন।
সারাবাংলা/পিএ