Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবি’র ‘শাটল ট্রেন’ নিয়ে সিনেমা এবার চট্টগ্রামে


৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:৫৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনা, হাসি-কান্না, প্রেম-বিরহ, প্রাণস্পন্দনের মঞ্চ ‘শাটল ট্রেন’। যা নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘শাটল ট্রেন’। চলচ্চিত্রটির পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শন শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামে।

১১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্রটি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শন এবং চলচ্চিত্রটি নির্মাণ নিয়ে সব তথ্য তুলে ধরেন এর পরিচালক প্রদীপ ঘোষ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ১১ থেকে ১৫ এপ্রিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শাটল ট্রেন চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী চলবে। থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ১১ এপ্রিল সকাল ১০টায় প্রিমিয়ার শো হবে। এর টিকেট মূল্য ২০০ টাকা। পরবর্তী শো থেকে ১০০ টাকা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হবে। টিকেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘শাটল ট্রেন শুধু একটি ট্রেন নয়, এটি একটি প্রাণের স্পন্দন। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনের প্রতিচ্ছবি। তাদের মেধা, মনন, চেতনা, সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটে এই শাটল ট্রেনের মাধ্যমে। চলচ্চিত্রেও আমরা সেটাকে উপজীব্য করেছি।’

এটি একটি গণপ্রযোজনার চলচ্চিত্র। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬ জন শিক্ষার্থীদের কেউ ৫ হাজার, কেউ ১০ হাজার কিংবা তার চেয়েও বেশি অর্থ-সহায়তা দিয়েছেন এই ছবির জন্য। এভাবে প্রায় ৬ লাখ টাকা এসেছে। আরও ১২ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন, তারা কেউ পেশাদার শিল্পী নন। তারা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। চলচ্চিত্রে ৬টি গান আছে, যাতে কণ্ঠ ও সুর দিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শুটিং হয়েছে। এখানে বৃষ্টি কিংবা অন্য বিষয়ে কোনো কৃত্রিম দৃশ্য নেই।

সেন্সর সনদ পেতে বিড়ম্বনার কথা জানিয়ে প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পর যখন সেন্সর বোর্ডে জমা দিলাম, প্রযোজকের জায়গায় ৯৬ জনের নাম দিলাম। তখন উনারা বললেন- এটা কিভাবে হয়? ৯৬ জন প্রযোজক কিভাবে থাকে। তখন একজনের নাম লিখে গং উল্লেখ করে আবার জমা দিলাম। এবার তারা বললেন- আপনারা পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির সদস্য হয়ে আসেন। সেখানে সদস্য হওয়া তো লাখ লাখ টাকার ব্যাপার। পরে সাবেক চবিয়ানদের বেশ কয়েকজন এবং বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হস্তক্ষেপে সেন্সর সনদ পাই।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোহছেনা ঝর্ণার লেখা ‘বহে সমান্তরাল’ গল্প অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে এই চলচ্চিত্র।

সারাবাংলা/আরডি/পিএ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর