ঈদ আমেজে যুক্ত হচ্ছে হলিউডের ‘ডার্ক ফনিক্স’
২ জুন ২০১৯ ১৬:২১
এক্স-মেন ভক্তদের জন্য সুখবর। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এক্স-মেন: অ্যাপোক্যালিপস’ ঝড়ের পর এবার আসছে মার্ভেল কমিকসের ‘ডার্ক ফনিক্স’। আগের ছবির ধুন্দুমার সাফল্যের পর থেকে দর্শকদের অপেক্ষা শুরু হয় পরবর্তী সিক্যুয়ালের। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৭ জুন। এ দিন বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে ‘ডার্ক ফনিক্স’। বাংলাদেশের দর্শকরাও একই দিন থেকে ছবিটি দেখতে পারবেন রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে।
তুমুল জনপ্রিয় এক্স-মেন সিরিজের ১২তম কিস্তি ‘ডার্ক ফনিক্স’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সাইমন কিনবার্গ। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে আছেন জেমস ম্যাকাভয়, মাইকেল ফ্যাসবেন্ডার, জেনিফার লরেন্স, নিকোলাস হল্ট, সোফি টার্নার, টাই সেরিডান, আলেক্সান্দ্রা শিপ, কোডি ম্যাকফি, ইভান পিটারস, জেসিকা চেস্টাইন।
এক্স-মেনের মহাজগতে অ্যাপোক্যালিপস ছিলেন প্রথম ও সবচেয়ে শক্তিধর আবির্ভাব। সভ্যতার শুরু থেকে তাকে দেবতা হিসেবে পূজা করা হতো। অন্যদের সমন্বিত শক্তি তার মধ্যে সঞ্চিত ছিল। ফলে তিনি হয়ে ওঠেন অমর, অপরাজেয়। কয়েক হাজার বছরের নিদ্রা থেকে জেগে ওঠার পর জগতের পরিস্থিতি দেখে বিভ্রম কাটল তার। গড়ে তুললেন মিউট্যান্ট নামে পরিচিত শক্তিধরদের নিয়ে এক বাহিনী। এই দলে ছিলেন হৃদয়হীন ম্যাগনেটো (মাইকেল ফ্যাসবেন্ডার), যার কাজ মানবজাতিকে ধ্বংস করে পৃথিবীতে নিজের অধীন একজন নতুন নেতা তৈরি করা।
বিনাশের শঙ্কায় মানবজাতির ভাগ্য যখন দোদুল্যমান, তখন রাভেন (জেনিফার লরেন্স) তরুণ এক্স-মেন বাহিনীর নেতৃত্বে এলেন। প্রফেসর এক্সের (জেমস ম্যাকঅ্যাভয়) সহায়তায় তারা নিজেদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদটি রুখে দেবেন। আর মানবজাতিকে বাঁচাবেন সম্পূর্ণ বিনাশের হাত থেকে। এমন কাহিনী ছিলো আগের পর্বে।
এবারের পর্বে খল নায়িকা লিলান্ড্রার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেসিকা চ্যাসটেইন। যিনি ডার্ক ফনিক্স খুঁজে বন্দি করার ফন্দি আঁটেন। এবারের পর্বে কেভিয়ারের সবচেয়ে বিশ্বস্ত শিষ্য ফনিক্স অত্যন্ত শক্তিধর। টেলিপ্যাথিক ক্ষমতাধর জিন গ্রে-কে ফিনিক্স নামের কসমিক শক্তি পান করানো হয়। যার ফলে অসীম শক্তিধর জিন গ্রে তার ব্যক্তিত্ব হারিয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান এক্স-মেনদের বিরুদ্ধেই।
জিন গ্রে চরিত্রটিকে এবার আরও শক্তিশালী করে পর্দায় হাজির করেছেন পরিচালক। গ্যালাক্সিতে নিজেদের অস্তিত্য টিকিয়ে রাখতে আর জিনের আত্মাকে রক্ষা করতে আবারো একসঙ্গে লড়তে দেখা যাবে এক্স-মেন পরিবারকে।
সারাবাংলা/পিএ