ঢাকায় দুই জানাজা, মমতাজউদদীনের দাফন চাপাইনবাবগঞ্জ
২ জুন ২০১৯ ১৯:৩৪
দেশ বরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ মমতাজউদদীন আহমদ রোববার (২ জুন) মারা জান। সদ্য প্রয়াত গুণী এই মানুষটির প্রথম নামাজে জানাজা হবে বাদ এশা রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকার মদিনা মসজিদে।
দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সোমবার (৩ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। প্রথমে ৯টা সময় দিলেও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজার সময় ধার্য করা হয়েছে সকাল ১০টায়।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন মমতাজউদদীন আহমদ-এর ভাগিনা শাহরিয়ার মাহমুদ প্রিন্স। তিনি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষ করেই মরদেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা রওনা হবেন চাপাইনবাবগঞ্জ-এর উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছানোর ওপর নির্ভর করবে চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে কখন দাফন সম্পন্ন হবে।
মমতাজউদদীন আহমদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন শাহরিয়ার মাহমুদ প্রিন্স। শহীদ মিনারে নেওয়ার ব্যাপারে মমতাজউদদীনের অনীহা ছিল বলে জানান তিনি।
১৬ মে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাখা হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ)। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
নানা সৃজনশীল গুণে গুণান্বিত অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ একজন ভাষাসৈনিকও। বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম এই পথিকৃৎ ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদক পান। এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।দেশের অন্যতম নাট্যদল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা মমতাজউদদীন আহমদ।
মমতাজউদদীন আহমদ ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
সারাবাংলা/পিএ/এএসজি