ভরসা হারাচ্ছে আমদানিকৃত বাংলা ছবি

বাংলাদেশে পশ্চিমবাংলার সিনেমার বাজার আছে— এতদিন যাবত এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। এই বাজার ধরতে ওপার বাংলার সিনেমা ব্যবসায়িরা আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছিলেন। সুযোগ কাজে লাগাতে তারা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা)—এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গের কিছু ছবি বাংলাদেশে রফতানি করেন। বিনিময়ে বাংলাদেশি কিছু চলচ্চিত্র আমদানি করছেন পশ্চিমবঙ্গে । তবে ওপারে গিয়ে বাংলাদেশি সিনেমা আলোর মুখ না দেখলেও বাংলাদেশে ঠিকই সেখানকার ছবি বড় পরিসরে মুক্তি পাচ্ছে।

শুরুতে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়ার কয়েক মাস পর বাংলাদেশে মুক্তি পেত আমদানিকৃত সিনেমা। তবে আমাদের দেশে মুক্তি পাওয়া সেসব আমদানিকৃত সিনেমার প্রতি সাধারন দর্শকদের আগ্রহ দেখা যায়নি। মানুষ গাঁটের টাকা খরচ করে পশ্চিমবাংলা থেকে আনা ছবি দেখছে না। এই দেখতে না যাওয়ার পেছনে হল মালিকরা দায়ি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাথে একই দিনে ছবি মুক্তি না পাওয়ার বিষয়টিকে।

আরও পড়ুন :  গ্র্যাজুয়েট কন্যাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত শাহরুখ

সারাবাংলাকে এ বিষয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দীন নওশাদ বলেছিলেন, কলকাতার সাথে একই দিনে সিনেমা মুক্তি পেলে সিনেমাগুলো চলতো। কয়েকমাস পরে মুক্তি পাওয়ায় সেগুলো মানুষ ইন্টারনেটে দেখে ফেলে বলে কেউ সিনেমা হলে দেখতে আসেনা।

আমদানিকৃত সিনেমা মুক্তিতে বাধা প্রদান করায় তিনি তখন দেশের কিছু চলচ্চিত্র সংগঠন ও সরকারের কিছু নিয়মনীতিকে দুষছিলেন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের সাথে একই দিনে মুক্তি পেয়েছে আমদানি করা ছবি ‘ভোকাট্টা’। ছবিটি আমদানি করে শাপলা মিডিয়া। সারাদেশে অর্ধশতাধিক সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পায়। পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশে মুক্তি পেলেও ছবিটি দর্শক গ্রহণ করেনি। হল ফাঁকা গেছে প্রথম দিন।

একই দিনে মুক্তি পাওয়ার পরও আমদানি করা ছবিটি না চলার কারণ জানতে চাইলে ইফতেখার উদ্দীন নওশাদ বলেন, ছবিতে বড় তারকা ছিল না। দেব, জিৎ হলে না হয় কথা থাকত। ছবির নায়ক ওম বাংলাদেশে অতটা জনপ্রিয় নন। তাছাড়া সিনেমা হল বাঁচানোর জন্য তো সিনেমা লাগবে। দেশের সিনেমা না থাকলে তো বিদেশি ছবি দিয়ে সিনেমা হল চালু রাখতে হবে। নতুবা বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা সিনেমা হল বন্ধ করে দিতে চাই না বলে লাভ লোকসানের কথা না ভেবে ছবি চালাচ্ছি।

এদিকে মুক্তি উপলক্ষে ‘ভোকাট্টা’ ছবিটির কোনো প্রচারণা চালানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে আমদানিকারক সেলিম খান বলেন, ব্যবসার কথা চিন্তা করে ছবিটি আমদানি করিনি। খুব কম মূল্যে ছবিটি আমদানি করেছি। সামান্য কিছু টাকা উঠে আসলেও চলবে। ছবিটি নিয়ে আমরা আহামরি আশাবাদী ছিলাম না।

আগামী ঈদুল আজহার আগে কেবলমাত্র দুটি দেশীয় ছবি মুক্তির কথা রয়েছে। একটি সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘আব্বাস’, অন্যটি মাহমুদ হাসান শিকদার পরিচালিত ‘অবতার’। ছবি দুটি যথাক্রমে মুক্তি পাবে ৫ ও ১৯ জুলাই।

শোনা যাচ্ছে, ৫ জুলাই আরেক আমদানিকৃত ছবি ‘কিডন্যাপ’ মুক্তি পাবে। এই ছবিটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন দেব ও রুক্মিনী।তবে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এখনো ‘কিডন্যাপ’ ছবি মুক্তির অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা পড়েনি।

সারাবাংলা/আরএসও/পিএম

আরও পড়ুন :

.   অভিনয় শিল্পী সংঘের অভিষেক, সভাপতি জানালেন পরিকল্পনা

.   তবে কী ‘বন্ড ২৫’র টাইটেল ফাঁস?

.   নওয়াজের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন তামান্না

আব্বাস আমদানিকৃত ছবি কিডন্যাপ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) ভোকা্ট্টা