করোনাভাইরাসের পূর্বাভাস ছিল যেসব বই আর চলচ্চিত্রে
৪ মার্চ ২০২০ ১৮:৫৫
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে ইতোমধ্যেই ৯৩ হাজার ১৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২০৩ জনের।
প্রতিদিন নতুন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে এই আতঙ্ক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ নিয়ে আলোচনাও চলছে হরদম।
এর মধ্যেই ভারতের জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের অনলাইন সংস্করনে প্রকাশ করেছে এমন কিছু বই ও চলচ্চিত্রের নাম, যেখানে অনেক আগে থেকেই করোনাভাইরাসের পূর্বাভাস দেওয়া ছিল। চলুন দেখে আসা যাক –
ভবিষ্যত বক্তা সিম্পসন
সিম্পসনের কমিকস বহুদিন ধরেই পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার ব্যাপারে ভবিষ্যৎ বলে দেওয়ার কারণে বিখ্যাত। ১৬ বছর আগে সিম্পসনের কমিকস এক পর্বে বলা হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন। সম্প্রতি সিম্পসন কমিকসে ১৯৯৩ সালের একটি পর্ব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই পর্বে বলা হয়েছে এক ধরনের ফ্লু’র কথা। যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। তবে সিম্পসনের ওই কার্টুনে ফ্লুর উৎপত্তিস্থল বলা হয়েছে জাপানে।
https://twitter.com/greenthumbpapi/status/1233169449944928256
দ্য আইজ অব দ্য ডার্কনেস
১৯৮১ সালে প্রকাশিত ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাস ‘দ্য আইজ অব দ্য ডার্কনেস’ এ লেখক ডিন কুনটজ লিখেছিলেন উহান-৪০০ নামের একটি ভাইরাসের কথা। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, ওই ভাইরাসটি ল্যাবরেটরিতে বায়োলজিকাল ওয়েপন হিসেবে তৈরি করা হয়। মুহুর্তেই ওই ভাইরাস সারা শহর ও সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪০ বছর আগে লেখা ওই ঘটনা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে হুবহু মিলে যাওয়ায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
২০১১ সালের চলচ্চিত্র কন্টাজিওন
স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত চলচ্চিত্র কন্টাজিওনে হংকং থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাসের গল্প বলা হয়েছিল। ওই ভাইরাসের নাম ছিল এমইভি-১। যার কারণে পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য আতঙ্ক নিয়ে নির্মিত ওই চলচ্চিত্রের সঙ্গেও বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি মিলে যায়।
https://twitter.com/IqbalMudasser/status/1222956292945448967
এন্ড অব ডেস
২০০৮ সালে লেখক সিলভিয়া ব্রাউনি লিখেছিলেন ২০২০ সালে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। ওই রোগ মানুষের ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রকে আক্রান্ত করবে কিন্তু প্রচলিত কোনো চিকিৎসায় এই রোগ সারবে না। হঠাৎ এই রোগ হাওয়া হয়ে যাবে এবং দশ বছর পর আবার পৃথিবীতে আসবে ওই ভাইরাস তারপর আরও কিছু প্রাণহানির পর ওই ভাইরাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।